অনেকদিন খেলার বাইরে তামিম ইকবাল। সর্বশেষ টেস্ট খেলেছেন গত বছর এপ্রিলে; শেরে বাংলায় আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। লাল—সবুজ জার্সি গায়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে শেষ দেখা গেছে গত বছর ২৩ সেপ্টেম্বর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শেরে বাংলায়। আর টি টোয়েন্টি খেলেন না প্রায় ৪ বছর। সর্বশেষ খেলেন ২০২০ সালের ৯ মার্চ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মিরপুরে। এর মধ্যে জাতীয় লিগের দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটেও মাঠে নামেননি তামিম। এবার বিপিএল সামনে রেখে নিজেকে ঝালাই করে নিতেই ক’দিনের প্রস্তুতি নিয়ে নেমে পড়লেন জাতীয় লিগ টি টোয়েন্টিতে। তামিম মাঠে নামবেন। কিন্তু কেমন খেলেন, রান করেন কিনা— তা দেখতে উন্মুখ হয়ে ছিলেন ভক্তরা। তাদের জন্য আপাতত সুখবর নেই। গতকাল বুধবার শুরু হওয়া ব্যাংক আল ফালাহ এনসিএল টি—টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে প্রথম দিন খেলতে নেমে সুবিধা করতে পারেননি তামিম। একটি করে চার ও ছক্কা হাকালেও ফিরে গেছেন মাত্র ১৩ রানে। খুব বেশি সময় ধরে যে প্রস্তুতি নিয়েছেন, তা নয়। তবে যতটুকু নিয়েছেন, তামিমের মানের হিসেবে নেহায়েত কমও না। জাতীয় লিগের টি—টোয়েন্টি ফরম্যাটে মাঠে নামার আগে শেরে বাংলা ও সিলেট মিলিয়ে প্রায় সপ্তাহ খানেকের মত অনুশীলন করেছিলেন তামিম। কিন্তু প্রথম দিন মাঠে নেমেই হতাশ করলেন দেশের এক নম্বর ওপেনার। গতকাল বুধবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রংপুর বিভাগের বিপক্ষে মাত্র ১০ বলে ১৩ রানে আউট হন চট্টগ্রাম বিভাগের হয়ে খেলতে নামা তামিম। দেশসেরা ওপেনার একা নন, রংপুরের বিপক্ষে ভালো করতে পারেননি চট্টগ্রামের অন্য নামী ব্যাটাররাও। তামিমের সঙ্গী হিসেবে ওপেন করা মাহমুদুল হাসান জয় (১২ বলে ১৪), অধিনায়ক ইয়াসির আলী (১৮ বলে ১৯), মুমিনুল হক (২১ বলে ২৭) ও ইরফান শুক্কুর (১৯ বলে ২০) কেউই বড় রানের ইনিংস খেলতে পারেননি। রংপুরের দুই পেসার মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ ও আলাউদ্দীন বাবুর কার্যকর বোলিংয়ের বিপক্ষে প্রতিষ্ঠিত ব্যাটারদের কেউ জ্বলে উঠতে না পারায় মাত্র ৯ উইকেটে মাত্র ১৩২ রানে আটকে গেছে চট্টগ্রাম বিভাগের ইনিংস। মুগ্ধ ১৭ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন। আলাউদ্দীন বাবু ৪ ওভারে মাত্র ৯ রান দিয়ে ২ উইকেট দখল করেন।