না হলো না। ওয়েস্ট ইন্ডজের কাছে নিজেদের প্রিয় ফরম্যাট ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে পারলো না বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৪ উইকেটে হেরে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে মেহেদেী হাসান মিরাজের দল। ৩২১ রানের বড় পুঁজি নিয়েও হোয়াইটওয়াশ এড়াতে পারলো না বাংলাদেশ। অভিষেক ম্যাচে আমির জাঙ্গুর অপরাজিত ১০৪ রানের অপরাজিত ইনিংসে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ৪ উইকেটের ব্যবধানে হেরেছে লাল সবুজরা। সবশেষ ২০২১ সালে ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল বাংলাদেশ। সেন্ট কিটসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩২১ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪৬ ওভেোরই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা। যার ফলে বছরের শেষ ওয়ানডে হার দিয়ে শেষ করলো বাংলাদেশ। । সঙ্গে নিশ্চিত হয়েছে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ। জাঙ্গুর অপরাজিত শতক ছাড়াও ৯৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন কেসি কার্টি। টাইগারদের পক্ষে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন রিশাদ হোসেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে শেষ ম্যাচে ওপেনিংয়ে নামেন ব্রান্ডন কিং ও অ্যালিক অ্যাথানাজ। তবে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ভেঙে যায় এই জুটি। ১০ বলে ১৫ রান করে রান আউটের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরে যান ব্রান্ডন কিং । তার বিদায়ে ১৯ রানেই প্রথম উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ৯ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন কিসি কার্টি ও অ্যালিক অ্যাথানাজ। তবে এই জুটিকে বেশিদূর এগোতে দেননি নাসুম আহমেদ। নাসুমের বলে বোল্ড হয়ে ৮ বলে ৭ রান করে সাজঘরে ফিরে যান অ্যালিক অ্যাথানাজ। তার বিদায়ে ২৮ রানে ২ উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নাসুমের পর ক্যারিবীয়ান শিবিরে আঘাত হানেন হাসান মাহমুদ। হাসান মাহমুদের বলে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন শাই হোপ। আউট হওয়ার আগে করেন ৬ বলে ৩ রান। তার বিদায়ে ৩১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। ৩১ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন কিসি কার্টি ও শেরফান রাদারফোর্ড। তবে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই এই জুটিকে থামান তাসকিন আহমেদ। তাসকিনের বলে তানজিদ হাসান তামিমের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান শেরফান রাদারফোর্ড। তার বিদায়ে ৮৬ রানে ৪ উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেরফান রাদারফোর্ডের বিদায়ের পর আমির জাঙ্গুকে নিয়ে জুটি গড়েন কিসি কার্টি। এই জুটিতে ভর করে ঘুরে দাঁড়াতে থাকে স্বাগতিকরা। বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ব্যাটারই তুলে নেন জোড়া অর্ধশতক। অর্ধশতক তুলে নেওয়ার পর ক্রমেই সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন কিসি কার্টি। তবে সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৫ রান দূরে থাকতে তাকে সাজঘরে ফেরান রিশাদ হোসেন। রিশাদের বলে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন কিসি কার্টি। মাত্র ৫ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন তিনি। তার বিদায়ে ভাঙে ১৩২ রানের জুটি। কিসি কার্টির বিদায়ে ২১৮ রানে ৫ উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিসি কার্টির পথ ধরে সাজঘরে ফিরে যান রোস্টন চেজ। তাকেও ফেরান রিশাদ হোসেন। রিশাদের শিকার হয়ে ১৭ বলে ১২ রান করে ফিরে যান তিনি। রোস্টন চেজের বিদায়ের পর গুদাকেশ মোতিকে নিয়ে এরপর শেষটা করেছেন আমির জাঙ্গু। ৩৫ বলেই ৫০ পার করে তাদের জুটি। জাঙ্গু পেয়েছেন দারুণ এক সেঞ্চুরি। ৭৯ বল খেলেই স্পর্শ করেছেন তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার। ৯০ রানের জুটি গড়েছেন গুদাকেশ মোতির সঙ্গে। মোতি অপরাজিত ছিলেন ৪৪ রানে। ক্যারিবিয়ানরা জয় পায় ৪ উইকেটে। এর আগে সেন্ট কিটসে গত বৃহস্পতিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। টস হেরে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ।এরপরেই জুটি গড়ে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও সৌম্য সরকার। ক্যারিবীয়ানদের বিপক্ষে তারা তুলে নেন জোড়া অর্ধশতক। তবে তাদের তাদের বিদায়ের পর আবারও ব্যাটিং ব্যর্থতায় পড়ে বাংলাদেশ। যার ফলে ১৭১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছ বাংলাদেশ। এরপরেই জুটি গড়ে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও জাকের আলী অনিক। ষষ্ঠ উইকেটে এই জুটির ১৫০ রানে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩২১ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ।