বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:২১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
জয়নগরে মন্দির ভিত্তিক স্কুলের সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের সাথে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় শ্যামনগরে বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির কর্মি টি এস অনুষ্ঠিত তালায় আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস পালিত সাতক্ষীরায় বিজয় দিবসে সদর উপজেলা বিএনপির র্যালি কলারোয়ায় টালি মালিক সমিতির নব—কমিটি গঠন সভাপতি গোষ্ট পাল ও সাধারণ সম্পাদক তুহিন সাতক্ষীরায় আন্তর্জাতিক অভিবাসী ও জাতীয় প্রবাসী দিবস পালিত আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাব ও আশাশুনি থানার বিজয় দিবস প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ নুসরাতের নৃশংস হত্যাকারী জনির ফাঁসির দাবীতে মানববন্ধন আশাশুনি আশার উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

মনিরামপুরে পরকীয়াকে কেন্দ্র করে হত্যার শিকার জহুরুল # কথিত প্রেমিকাসহ চার সন্দেহভাজন পুলিশ হেফাজতে

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি ॥ যশোরের মনিরামপুরে ব্যবসায়ী জহুরুল হত্যকান্ডের ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সায়ফুন্নাহার বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। তবে একজন ঘাট শ্রমিকের স্ত্রীর সাথে পরকীয়া সম্পর্কের জের ধরে জহুরুলকে হত্যা করা হয় বলে পুলিশের প্রাথমিক ধারনা। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহভাজন হিসেবে পুলিশ জহুরুলের সেই কতিথ প্রেমিকাসহ চারজনকে থানা হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। এলাকার বেশ কয়েকটি নির্ভরযোগ্য সুত্র জানিয়েছে, জানাগেছে উপজেলার শ্যামনগর গ্রামের ওই ঘাট শ্রমিকের স্ত্রীর সাথে প্রথমে পরকীয়া সম্পর্ক ছিল এলাকার শফিকুল ইসলাম নামে এক যুবকের। পরবর্তিতে ওই নারীর সাথে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলেন স্যানিটারী ব্যবসায়ী জহুরুল। এ নিয়ে গোপনে জহুরুলের সাথে শফিকুলের বিবাদ দেখা দেয়। সম্প্রতি শফিকুল জহুরুলকে ফোনে হুমকিও দেন বলে জানাগেছে। মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই অমিত কুমার দাস জানান, প্রাথমিক তদন্তে তিনি জানতে পেরেছেন পরকীয়াকে কেন্দ্র করে জহুরুলকে পরিকল্পীতভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আর এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহভাজন হিসেবে জহুরুলের সেই কতিথ প্রেমিকাসহ চারজনকে বৃহস্পতিবার রাতে থানা হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অন্য তিনজন হলেন শ্যামনগর গ্রামের শফিকুল ইসলাম, বাটবিলা গ্রামের ইলিয়াস হোসেন ও উজ্জ্বল কুমার মন্ডল। মনিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) নূর মোহাম্মদ গাজী জানান, থানা হেফাজতে ওই চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডে সম্পৃক্ততার কোন তথ্যপ্রমান পাওয়া গেলে এরাই হতে পারে মামলার আসামি। উল্লেখ্য উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের খোরশেদ আলী সানার ছেলে দুই সন্তানের জনক জহুরুল ইসলাম মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে কোনাকোলা বাজারে তার স্যানিটারি দোকান বন্দ করে মোটরসাইকেল চালিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। কিন্তু সে রাতে বাড়িতে ফেরেনি। স্থানীয়রা বুধবার সকাল ছয়টার দিকে বাটবিলা সড়কের পাশে জহুরুলের রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ ও মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com