এফএনএস: খুলনার তেরখাদা থানার পিংকু মজুমদারের স্ত্রী মাধুরী বিশ্বাসের (৩৬) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ায় পটুয়াখালীর বিধান দাস (২৫) নামে এক যুবক। চার—পাঁচ মাস পর বিয়ের দাবিতে সাত বছরের মেয়েকে নিয়ে পটুয়াখালীতে বিধানের কাছে চলে যায় ওই নারী। সেখান থেকে লঞ্চে ঢাকায় আনার সময় পানির সঙ্গে কীটনাশক খাইয়ে মা—মেয়েকে হত্যা করে বিধান। গতকাল বুধবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে লালবাগ বিভাগের উপ—কমিশনার মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন এ তথ্য জানান। এর আগে, গত মঙ্গলবার মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থেকে বিধান দাসকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির কোতোয়ালী থানা—পুলিশ। অভিযুক্ত ব্যক্তি হত্যাকাণ্ডের ঘটনার দায় স্বীকার করেছে জানিয়ে মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, বিধান দাস বাল্কহেডের ইঞ্জিন শ্রমিক। চার—পাঁচ মাস আগে তার এক বন্ধুর কাছে সে মাধুরীর মোবাইল ফোন নম্বর পায়। তাকে কল করে। ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিধানকে বিয়ের জন্য চাপ দেয় মাধুরী। কিন্তু সে রাজি হয় না। তিনি বলেন, গত ২৮ নভেম্বর মাধুরী তার সাত বছরের মেয়ে শ্রেষ্ঠাকে নিয়ে খুলনা থেকে বরিশাল যায়। সেখানে বিধানের সঙ্গে এক আবাসিক হোটেলে ওঠে। পরদিন সকালে বিধান পারিবারিক কাজ নিয়ে ব্যস্ততার কথা বলে পটুয়াখালী চলে যায়। পরে সে মাধুরীকে পটুয়াখালী যেতে বলে। সেখান থেকে তারা একসঙ্গে ঢাকা যাবে। এরপর থেকে বিধান মাধুরীকে হত্যার পরিকল্পনা করতে থাকে। তিনি আরও বলেন, ‘৪ ডিসেম্বর সকালে দশমিনা বাজারের নলখোলা বন্দরের একটি দোকান থেকে ঘাস মারার কীটনাশক কেনে বিধান। ওইদিন বিকালে সে মাধুরী ও তার মেয়েসহ লঞ্চে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। এক পর্যায়ে মাধুরী ও তার মেয়েকে বিষ মেশানো পানি খাওয়ায়। ৫ ডিসেম্বর সকালে লঞ্চটি সদরঘাট টার্মিনালে পেঁৗছালে মাধুরী ও তা মেয়েকে এক জায়গায় বসিয়ে খাবার আনার কথা বলে পালিয়ে যায় বিধান। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মা—মেয়েরে মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ৬ ডিসেম্বর ভুক্তভোগীর বড় ভাই নারায়ন বিশ্বাসের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাজধানীর কোতোয়ালী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয় বলেও জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।