কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কলারোয়ার জালালাবাদে সেই অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রী সানচিতা হোসেন সেজ্যোতি (১৩) হত্যার ৭ দিন মূল রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রকৃত হত্যার সাথে জড়িত থাকার কারণে প্রেমিক আব্দুর রহমানকে (২০) গ্রেফতার করা হয়েছে। গত রোববার রাত ১০টার দিকে কলারোয়া পৌরসদরের আফজালের মোড় এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাব ইন্সপেক্টর এসআই সোহারব হোসেন। ঘাতক প্রেমিক আব্দুর রহমান একই গ্রামের পাশাপাশি বাসিন্দা আলতাফ হোসেনের ছেলে ও হাবিবুল ইসলাম কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। কলারোয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাসির উদ্দীন মৃধা বলেন, সেজ্যোতি ও আব্দুর রহমানের একই গ্রামের পাশাপাশি বাড়ি হওয়ায় তাদের দুই জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। আটক প্রেমিক আব্দুর রহমান জবানবন্দিতে হত্যার কথা স্বীকার করে বলেছে, সেজ্যোতির সাথে আমার গভীর প্রেমের সম্পর্ক থাকার পরও সে অন্য ছেলেদের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এটা আব্দুর রহমান মানতে পারেনি। ঘটনার দিন গত সোমবার ২৭ মার্চ রাত ৯টার দিকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে তারা দুজনে। পালিয়ে যাওয়ার বিষয় নিয়ে সেজ্যোতির মেঝ দাদার পরিত্যক্ত ঘরের মধ্যে তাদের মাঝে মনোমালিন্য দেখা দিলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আব্দুর রহমান সেজ্যোতিকে ধাক্কা দিলে দেওয়ালে পড়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে সেজ্যোতি। তাৎক্ষণিক জ্ঞান না ফেরায় ঘটনার ধামাচাপা দিতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সেজুতিকে শ্বাসরুদ্ধকরে হত্যা করে মাষ্টার পাড়ার মাঠে আলাউদ্দিন সরদারের কুল বাগানের ড্রেনে সেজ্যোতির মৃতদেহ ফেলে রাখে প্রেমিক আব্দুর রহমান। ওসি আরও বলেন, হত্যা করে মৃতদেহ গোপন করার অপরাধে ৩০২/৩৪/২০১ পেনাল কোড ১৮৬০ ধারার ৪৫ নম্বর অজ্ঞাত আসামি মামলায় জালালাবাদ মাষ্টার পাড়ার আলতাফ হোসেনের ছেলে আব্দুর রহমান (২০)কে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আটক করা হয়েছে৷ তাকে মামলা আইনে সাতক্ষীরা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আসামির ১৬৪ ধারার জবানবন্দি গ্রহণ ও তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এর আগে গত ২৮ মার্চ সকালে আলোচিত ওই সেজ্যোতির মরদেহ উপজেলার জালালাবাদ গ্রামের আলাউদ্দিন সরদারের কুল বাগানের ড্রেন থেকে পুলিশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের মা লায়লা পারভীন বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে কলারোয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করে। যার নং ৪৫।