এফএনএস বিদেশ: তাইওয়ানে সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি ও সহায়তার সর্বশেষ মার্কিন ঘোষণার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে চীন। গত গত রোববার তারা যুক্তরাষ্ট্রকে ‘আগুন নিয়ে খেলা’ থেকে বিরত থাকতে সতর্ক করেছে। মার্কিন বার্তাসংস্থা এপি এ খবর জানিয়েছে। স্বশাসিত তাইওয়ানের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শনিবার সামরিক সরঞ্জাম ও প্রশিক্ষণের জন্য ৫৭ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার পর্যন্ত সহায়তা অনুমোদন করেছেন। এছাড়া, প্রতিরক্ষা বিভাগ শুক্রবার জানিয়েছে, ২৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলারের সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করা চীন স্বভাবতই এটি পছন্দ করেনি। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে তাইওয়ানে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করতে এবং তাইওয়ান প্রণালীর শান্তি ও স্থিতিশীলতা ব্যাহত করে এমন ‘বিপজ্জনক পদক্ষেপ’ বন্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। মার্কিন সামরিক উদ্দেশ্য তাইওয়ানের আত্মরক্ষার সক্ষমতা বৃদ্ধি ও চীনের হুমকি প্রতিহত করা। সেপ্টেম্বরে ঘোষিত ৫৬ কোটি ৭০ লাখ ডলার সহায়তার ওপর বাড়তি ৫৭ কোটি ১০ লাখ ডলারের সহায়তা অনুমোদন করলেন বাইডেন। তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই দুই দফা অনুমোদনকে স্বাগত জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেছে, তাদের প্রতিরক্ষার প্রতি মার্কিন সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত হলো এর মাধ্যমে। চলতি বছর অক্টোবরে তাইওয়ানের জন্য দুইশ কোটি ডলার সমমূল্যের অস্ত্র বিক্রয় অনুমোদন করে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে প্রথমবারের মতো অন্তর্ভুক্ত ছিল একটি উন্নত সারফেস—টু—এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এ ঘোষণাও চীনের সমালোচনার মুখে পড়ে। চীন তাইওয়ানের আশেপাশে সামরিক মহড়ার মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। চলতি মাসের শুরুতে চীনের চলমান সামরিক কার্যক্রম বন্ধ করার দাবি জানিয়ে তাইওয়ান বলেছে, চীনের কার্যক্রম তাইওয়ান প্রণালীর শান্তি ও স্থিতিশীলতা ক্ষুণ্ন করছে এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। এদিকে, নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তার মেয়াদকালে তাইওয়ানে যদি চীন হামলা চালায়, তবে তিনি তাইওয়ানের সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি দিতে পারেন না। তিনি আরও বলেছেন, চীনের বিরুদ্ধে সুরক্ষা পাওয়ার জন্য তাইওয়ানের উচিত যুক্তরাষ্ট্রকে অর্থ প্রদান করা। বর্তমানে, তাইওয়ান তার জিডিপির প্রায় আড়াই শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করে।