বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২৪ অপরাহ্ন

কয়রায় পানির ট্যাংকির ভিট নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম অফিসের কর্মচারি জড়িত থাকার অভিযোগ

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি \ খুলনার উপকূলীয় অঞ্চল কয়রা উপজেলায় গত ৫ বছরে হাজার হাজার পানির ট্যাংকি সহ ভিট নির্মাণ এবং অন্যান্য মালামাল বিতরণ করেছে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী। গ্রাহকদের বাড়ীতে ট্যাংকি বসানো কাজে ইট বালু, সিমেন্ট ও ইটের খোয়া ভাল মানের দেওয়ার কথা থাকলেও চলমান কাজে যে সব মালমাল বিতরণ করা হচ্ছে তা খুবই নিম¥মানের। অফিস সূত্রে জানা গেছে, ট্যাংকির ভিট নির্মাণ কাজের জন্য নিদিষ্ট ঠিকাদার থাকলেও ঠিকাদার কখনও এলাকায় আসেন না। অভিযোগে জানা গেছে, কয়রা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অফিসের কর্মচারি সানোয়ার হোসেন ঠিকাদারের কাছ থেকে ভিট নির্মাণ কাজের দায়িত্ব নিয়ে নিম্ম মানের মালামাল দিয়ে ভিট নির্মাণ করছেন। ফলে একাধিক ভিটায় ট্যাংকি বসানোর আগেই ভিট ডেবে যাওয়া ও ফাটল দেখা দিয়েছে। সরেজমিনে একাধিক গ্রাহকের বাড়ীতে ভিটার নির্মাণ কাজে ব্যবহারিত ইট বালু ও ইটের খোয়া খুবই নিম্মমানের দেখা গেছে। এ বিষয় অনেক গ্রাহক উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী জনাব ইসতিয়াক হোসেনের কাছে অভিযোগ করলে তিনি ইতোমধ্যে অনিয়মের সত্যতা পেয়ে কয়েকটি ভিটার মালামাল পরিবর্তন করে দিয়েছেন। কিন্তু এর আগে শতশত ভিট নির্মাণ করা হয়েছে যাহাতে হাত দিয়ে ডলা দিলেই প্লাষ্টার উঠে যাচ্ছে। তবে উক্ত কর্মকর্তা অভিযোগ ছাড়া কোন গ্রাহকের বাড়িতে পরিদর্শনে না যাওয়ায় অফিস কর্মচারি সানোয়ার একাধিক মিস্ত্রি দিয়ে দ্রুত নিম্মমানের মালামাল দিয়ে ভিট নির্মাণ কাজ করে চলেছেন। এ বিষয়ে কয়রা সদর ইউনিয়নের ১ নং কয়রা গ্রামের সিরাজুল ইসলাম, আঃ সাত্তার গাজী এবং উত্তর মদিনাবাদ গ্রামের হারুন অর রশীদ গাজী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে জানা যায়, ঠিকাদার ১ নং ইট বালু ও খোয়া দিয়ে কাজ করার কথা বললেও সাবকন্ট্রাকটার উক্ত সানোয়ার সহ আরও কয়েকজন সম্পূর্ণ নিম্ম মানের মালামাল দিয়ে ভিট নির্মাণ করছেন। এছাড়া নির্মাণকাজে নিদিষ্ট পরিমাণ ইট, বালু, সিমেন্ট এবং খোয়া দেওয়ার কথা থাকলেও প্রতিটি ভিট থেকে মালামাল চুরি করে বিক্রি করছেন। উল্লেখ্য সিডিউলে বর্নণা অনুযায়ী সরকার প্রতিটি ভিটার জন্য ১৬ হাজার টাকা বরাদ্ধ দিয়েছেন। অথচ চলমান ভিট নির্মাণ কাজে ঠিকাদারের নিযুক্ত কর্মচারির খরচ করছেন সাড়ে ৪ হাজার টাকা। এ দিকে অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে উপজেলা জনস্বাস্থ প্রকৌশলী অধিকাংশ ট্যাংকির ভিট নির্মাণে নিম্মমানের মালামাল দিয়ে কাজ করা হচ্ছে এমনটা স্বীকার করে বলেন, তিনি নিয়মিত এসব কাজের পরিদর্শন করছেন এবং কিছু কিছু ভিটার মালামাল পরিবর্তন করেছেন। তবে উক্ত কর্মকর্তা ভিট নির্মাণে সরকারি বরাদ্ধের কথা জানাতে অস্বীকার করেন। তিনি আরও বলেন, অফিসের কেউ এসব কাজে থাকার প্রমাণ মিললে উদ্ধর্তন কতৃপক্ষের সাথে কথা বলে দাপ্তরিক ব্যবস্থা নিবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com