শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৮ পূর্বাহ্ন

নূরনগরে অবৈধ বালি উত্তোলনের চেষ্টা, প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বন্ধ

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

বিশেষ প্রতিনিধি \ শ্যামনগর উপজেলার নূরনগর ইউনিয়নের হরিপুর শিয়া মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের সাব স্টেশন নির্মাণকরণের লক্ষ্যে নিচু জমি ক্রয়ের পর পার্শ্ববর্তী রামচন্দ্রপুর এলাকার জনবসতি ও মিষ্টি পানির খাল থেকে অবৈধ বালি উত্তোলন করে ভরাট করার সময় গ্রামবাসীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে অবৈধ বালি উত্তোলন বন্ধ করা হলো। একটি প্রভাবশালী মহল বিগত কয়েক মাস যাবত বিভিন্নভাবে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বালি উত্তোলন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে এলাকাবাসী জানায়। গতকাল সকাল ১০ টার দিকে অত্র এলাকায় বসবাসরত জনসাধারণের নিষেধকে উপেক্ষা করে বালি উত্তোলন শুরু করে ঠিকাদার তুহিন এবং তার লোকজন। ঠিকাদার কারোর কথা কর্ণপাত না করায় স্থানীয় জনগণ প্রশাসনকে অবহিত করেন, খবর পেয়ে নূরনগর ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা রনজিত কুমার মন্ডল ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে অবৈধ বালি উত্তোলন বন্ধ করে দেন। এ সময় উপস্থিত স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুস সামাদ (সামিদ) বলেন, রামচন্দ্রপুর সরকারি খালের দু—পাশে সাধারণ গরিব অসহায় মানুষদের বসবাস, এছাড়া এ খালের পানি দিয়ে ঐ এলাকার কৃষি জমিতে বিভিন্ন ধরনের ফসল ফলানো হয়, বালি উত্তোলন করলে খালের পাড় ভেঙ্গে বসতবাড়ি ও পরিবেশের ক্ষতির সম্ভাবনা থাকবে। এছাড়া উক্ত খালপাড়ে বসবাস কারী আকলিমা খাতুন ও নুরুন্নাহার বেগম বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে খালের দুপারে বসবাস করছি, জনবসতি এলাকার খাল থেকে বালি উত্তোলন করলে আমাদের ঘরবাড়ি ধসে পড়বে এ লক্ষ্যে প্রশাসনের নজরদারিতে এলাকার কোন জলাশয় থেকে বালি উত্তোলন যাতে না হয় সে বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরি বলে মনে করেন তারা। অবৈধ বালি উত্তোলনে বাধা প্রদানকারী প্রভাষক রোকনুজ্জামান বলেন, রামচন্দ্রপুর খালের দুপাশে অনেক মানুষের বসবাস, এখান থেকে ড্রেজার মেশিন দ্বারা বালি উত্তোলন করলে খালের দুই পাড় ভেঙে পড়বে, এতে খালের পাড়ে বসবাসরত মানুষেরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, এ কারণে আমরা বালি উত্তোলনে বাধা দেওয়ায় এবং প্রশাসনের মাধ্যমে বালি উত্তোলন বন্ধ করায়, ঠিকাদার আমাদের বিভিন্ন ধরনের হুমকি এবং আমাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি সহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে মামলা দিয়ে হয়রানি করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এ বিষয়ে নূরনগর ইউনিয়ন সহকারি ভূমি কর্মকর্তা রনজিত কুমার বলেন, আমি এসিল্যান্ড স্যারের নির্দেশে উক্ত বালি উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছি। অন্যদিকে বালি উত্তোলনে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার তুহিন হোসেন বলেন, আমি আর এখান থেকে বালি উত্তোলন করবো না, কিন্তু তিনি অভিযোগ করে বলেন এলাকার লোকজন আমার বালি উত্তোলনের মেশিনটি চুরি করে নিয়ে গেছে এবং পাইপগুলো ভেঙে দিয়েছে, এ বিষয়ে আমি আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি। অবৈধ বালি উত্তোলনের বিষয় জানতে চাইলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল রিফাত দৈনিক দৃষ্টিপাতকে জানান, অবৈধ ভাবে জনবসতি এলাকা থেকে পরিবেশ নষ্ট করে কাউকে বালি উত্তোলন করতে দেয়া হবে না। এ ধরনের অভিযোগ পেলেই আমাদেরকে জানালে আমরা তাৎক্ষণিক ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো বলে নিশ্চিত করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com