জি,এম,আমিনুর রহমান: শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের শৈলখালী, পরানপুর, কাটামারি, নিদয়া, নৌকাটি, বেড়িবাঁধ ছিদ্র করে ও পাইপ ঢুকিয়ে লবণ পানি উঠিয়ে নোনা পানি দিয়ে চলছে অপরিকল্পিত চিংড়ি চাষ। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক বেড়িবাঁধের ১শ মিটার দূরে ঘের করার নিয়ম থাকলেও তা মানছেন না স্থানীয়রা,এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উপকূলের বেড়িবাঁধ,প্রতি বছরই প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় বিস্তীর্ণ এলাকা। বিশেষ করে কৈখালী ইউনিয়নে শৈলখালী,পরানপুরে তিতাকথা হলেও সত্যি এসব এলাকায় অবৈধ পাইপ শনাক্তের নির্দেশ হলেও কোনো রকম কার্যক্রম দেখা মেলেনি বড় কোনো দুর্যোগ এলেই এ বাঁধ টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না, এ অবস্থার মধ্যে জেলা ও উপজেলার কিছু কুচক্রী মহলের সহযোগিতায় স্থানীয় গুটি কয়েক অসাধু ব্যক্তি বেড়িবাঁধ ছিদ্র করে পাইপের মাধ্যমে লবণ পানি তুলে চিংড়ি ঘের করছেন। শ্যামনগর পাউবো কর্মকর্তা মাসুদ রানা জানান আমরা কয়েকটি জায়গায় অবৈধ পাইপ অপসারণের অভিযান পরিচালনা করতে থাকি এক পর্যায়ে নানামুখী বাঁধার সম্মুখে আমরা অভিযান বিরত রাখি। উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আাতাউল হক দোলনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কোনো পাইপ অপসারণ বন্ধ করতে চাইনি এভাবে যত্রতত্র পাইপ বসানোর কারণে বাঁধ দুর্বল হয়ে পড়ছে। শুধু কৈখালী ইউনিয়ন নয় উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়ন সহ উপজেলার অধিকাংশ ইউনিয়ন একইভাবে বেড়িবাঁধ ছিদ্র করে পানি উঠিয়ে ঘের করা হয়। এতে দুর্বল হয়ে যাচ্ছে বাঁধ। যে কারণে দুর্যোগ আসলেই বাঁধ ভেঙে নোনা পানি ঢোকে লোকালয়ে, এছাড়াও স্থানীয় বসবাসকারী অনেকেই প্রতিবেদককে জানান, নোনা পানি আমাদের জীবনের নানা জটিলতার স্বীকার হচ্ছি, হচ্ছে না কোনো ফল গাছ,নোনা পানির লবণাক্ততায় ফলছে না কোনো ফসল,না আছে বিশুদ্ধ খাওয়ার পানি,গা গোসলের এমনকি নামায পড়ার জন্য ওযু করার মত মিষ্টি পানি পর্যন্ত নেই কোনো জায়গায়,স্থানীয় ভুক্তভোগী মানুষের হতে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,এভাবে বেঁরিবাঁধ ছিদ্র করে পানি তোলার কারণে বেশিরভাগ জায়গায় বেঁরিবাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে প্লাবিত হয়। দীর্ঘ ২৫-২৭ বছর ধরে স্থানীয় গুটি কয়েক প্রভাবশালী অসাধু মানুষের ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য লবণ পানি ঢুকিয়ে ঘের করে আসছে। এলাকাবাসীর নোনা পানি মুক্ত করে সোনার ফসল উৎপাদনে করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পদক্ষেপ গ্রহণ দাবি করেন। লবণ পানি ঢুকিয়ে ঘের করার বিষয়ে কৈখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম বলেন, কৈখালী ইউনিয়নের বেঁরিবাঁধে কিছু জায়গা আছে যেসব বাঁধ উপচে পানি ঢোকে,সেসব বাঁধের এমন নাজেহাল অবস্থা একমাত্র অপরিকল্পিত চিংড়ি চাষ বেড়িবাঁধ ছিদ্র করে পানি উঠিয়ে ঘের করাই অন্যতম কারণ, তবে লবণ পানিতে জমির উর্বরতা নষ্ট হয়েছে স্বীকার করে তিনি বলেন, মজবুত বেড়িবাঁধ ও বেড়িবাঁধ ছিদ্র করে পানি উঠানো বন্ধ হলে অবশ্যই কৈখালী ইউনিয়নে ফসল ফলানো যাবে। এবিষয়ে সাতক্ষীরা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়েরের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, অপরিকল্পিত চিংড়ি চাষ অবৈধ ভাবে বেড়িবাঁধ ছিদ্র করে পানি উঠিয়ে ঘের করা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছি।