বিশেষ প্রতিনিধি \ শ্যামনগর উপজেলার মুন্সীগঞ্জে রাতের আঁধারে ৩০ বছরের দখলীয় সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের অভিযোগে মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নে সিংহড়তলী গ্রামের মৃত নবাব্দী ফকিরের পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান বাদী হয়ে শ্যামনগর থানায় এজাহার করেছেন। এজাহারভুক্ত আসামি হলেন সিংহড়তলী গ্রামের মৃত দাউদ গাজীর পুত্র আইয়ুব আলী, আইয়ুব আলীর পুত্র ইউনুস আলী, রুহুল আমিন গাজীর পুত্র ইস্রাফিল, মোস্তফা আয়ুব আলীর স্ত্রী ফজিলা খাতুন। এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার গভীর রাতে আইয়ুব আলী নেতৃত্বে বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান ফকিরের দখলীয় সম্পত্তি সকল আসামিরা জবর দখল করে। আসামিরা দুর্দান্ত গুন্ডা প্রকৃতির জবর দখলকারী, চাঁদাবাজ শ্রেণীর ব্যক্তি। আসামীগণ ঐ মুক্তিযোদ্ধার ক্রয়কৃত তপশিল বর্ণিত জমিটুকু গায়ের জোরে জবর দখল কর। তপশিল বর্ণিত জমি এজাহারকারী স্থানীয় মথুরাপুর সাকিনের জ্যোতিষ মন্ডলের পুত্র অনিল কৃষ্ণ (নুনু) এর নিকট থেকে ক্রয় সূত্রে দীর্ঘদিন ভোগ দখল করে বাড়িঘর তৈরি করে বসবাস করছে। মুক্তিযোদ্ধা এজাহারে আরো জানান, ঘরটিতে ১টি ৩২ ইঞ্চি রঙ্গিন টিভি, একটি মিনিস্টার ফ্রিজ, একটি কাঠের খাট, একটি স্টিলের আলমারি সহ তার জমা জমির দলিলপত্র আলমারিতে রক্ষিত ছিল। ৪ই এপ্রিল সোমবার সকালে ঘের হতে বাড়ির সামনে এসে তিনি দেখতে পান আসামিগন দা লাঠিসোটা নিয়ে তার ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে হুমকি দিয়ে বলে এখন থেকে বাড়ি আমাদের এখানে ঢোকার চেষ্টা করিলে দা দিয়ে কুপিয়ে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেব। এঘটনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান ফকির শ্যামনগর থানায় একটি এজাহার দাখিল করেছেন। এ বিষয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ কাজী ওয়াহিদ মুর্শেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দৈনিক দৃষ্টিপাতকে জানান, আমি অভিযোগ পেয়েছি পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। উভয় পক্ষের কাগজপত্র দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উলেখ গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অসিম মৃধা স্থানীয় সাংবাদিকদের নিয়ে উভায় পক্ষে কাগজ দেখার জন্য বসাবসি করে। আয়ুব আলি ঐ জায়গার কাগজ দেখতে চাইলে সে কোন বৈধ কাগজ দেখাতে পারিনি।