দৃষ্টিপাত রিপোর্ট \ বাংলাদেশ এক সময় আমদানী নির্ভর আর বৈদেশিক সহায়তা সম্পর্কিত দেশ হিসেবে পরিচিতি পেলেও বর্তমান বিশ্ব বাস্তবতায় এই দেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নে উচ্চতায় পৌছেছে এবং আমদানী নির্ভরতার পরিবর্তে রপ্তানী কারক দেশে পরিণত হয়েছে। গত পাঁচ মাসের ব্যবধানে দেশের অর্থনীতিতে অধিকতর প্রবৃদ্ধি ঘটে চলেছে। বিশ্ব মন্ডলে বাংলাদেশের পরিস্থিতি, অবস্থান এবং আর্থ সামাজিক পরিবেশ পূর্বের আর বর্তমানের চিত্র যোজন যোজন ব্যবধান। এক কথায় বলা যায় ব্যবসা বাণিজ্য তথা বিনিয়োগের সর্বাত্মক পরিস্থিতি বিরাজ করছে দেশে। বিশ্ব বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব নোবেল বিজয়ী ড. মুহম্মদ উইনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তবর্তীকালীন সরকার দেশ পরিচালনা করছে। বিশ্বশান্তি আর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি প্রতিমুখ হিসেবে পরিচিত ড. মুহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন সরকার এদেশের জনপ্রত্যাশার প্রতিফলন, দেশে বিনিয়োগের পরিবেশ বিরাজমান। কোন ধরনের সংঘাত, সহিংসতা নেই, বিনিয়োগকারীদের জন্য অস্বস্তির সামান্যতম সুযোগ নেই বিধায় এখনই উপযুক্ত সময় বাংলাদেশে বিনিয়োগের। রাজনৈতিক প্রভাব, প্রতিপত্তি বা প্রতিকুল পরিবেশে বিনিয়োগ কারীরা হোচট খায় এবং বিনিয়োগে আগ্রহী হয় বিধায় সেই পরিবেশ নেই এক কথায় বলা যায় বিনিয়োগের উর্বর পরিবেশ। দেশী বিদেশী বিনিয়োগকারীদের তাই সরকারি, বেসরকারি পর্যায়ে আহ্বান করার এখনই উপযুক্ত সময়। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিনিয়োগের বিকল্প নেই। এ ক্ষেত্রে কেবল বিদেশী বিনিয়োগকারীরাই যে কেবল বিনিয়োগ করবে তা নয়। দেশী উদ্যোক্তা এবং প্রবাসীরাও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। বাংলাদেশ বিনিয়োগের তথা ব্যবসা বাণিজ্য ও উৎপাদনের যেমন অনুকুল পরিবেশ বিরাজ করছে অনুরূপ বিনিয়োগ শক্তি হিসাবে পরিচিত উৎপাদিত পণ্যের চাহিদা, বাজার, উৎপাদিত মূল্য, লাভ, লোকসান সবই অনুকুলে। এদেশের আঠার কোটি মানুষের চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে দৃশ্যত: বিনিয়োগকারীদের হিমসিম খেতে হওয়ার উপক্রম ঘটবে অর্থাৎ উৎপাদিত পণ্য এদেশের বাজারেই বিক্রয় করা সম্ভব তারপর তো বিশ্ব বাজার তো আছেই। সরকারের পক্ষ হতে বিদেশী বিনিয়োগকারীদেরকে এই দেশে বিনিয়োগের বিষয়ে আকৃষ্ট করতে হবে। এক সময়ের অনুন্নত মালেশিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম কিভাবে বৈদেশিক বিনিয়োগকারীদের স্ব স্ব দেশে বিনিয়োগ উৎসাহিত করেছে এবং বর্তমান সময়ে বিশ্বের অগ্রগামী অর্থনৈকিক উন্নয়নের দেশের তালিকায় নিজেদেরকে স্থান কর নিয়েছে। দেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ হলে কেবলমাত্র দেশের অর্থনীতি সুসংহত হবে তা নয়। আমাদের দেশের হাজার হাজার শিক্ষিত বেকারের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে অর্থাৎ বেকার সমস্যার সমাধানে কাঙ্ক্ষিত ভূমিকা রাখবে। বৈদেশিক বিনিয়োগাকরীদেরকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আগ্রহী করে তুলতে হবে। দেশের বেকার সমস্যা এমন পর্যায়ে পৌছেছে যে বহুসংখ্যক স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রীধারীরা যেমন কাঙ্ক্ষিত চাকরী পাচ্ছে না অনুরূপভাবে অনেক কম বেতনে চাকরী করছে। বিদেশী বিনিয়োগের পাশাপাশি দেশের বেসরকারী খাতের বিনিয়োগও যথাযথ ভূমিকা রাখতে পারে। আমাদের দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিকল্প নেই। বাংলাদেশের বাজার দখল করা দেশগুলো বিশেষ করে চীন, ভারত, নিজেদের দেশীয় উদ্যোক্তার ফসল। অসম বাণিজ্য ঘাটতির কবলে দেশ। বিধায় গুটি কয়েক দেশ নয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপ আফ্রিকার ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বিশেষভাবে বিনিয়োগের আহ্বান জানাতে হবে। বিশ্ববাসি স্বীকৃতি দিয়ে আমাদের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনুসকে আর তাই আঠার কোটির বাংলাদেশের পক্ষ হতে অবশ্যই নোবেল বিজয়ী বাংলাদেশের গর্ব আর মর্যাদার প্রতিক প্রধান উপদেষ্টা বিশ্ববিনিয়োগকারীদেরকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানাতে পারেন সেই সাথে কেন্দ্রীয় ও প্রবাসী বিনিয়োগ কারীদেরকে বিনিয়োগে সম্পৃক্ত করতে ভূমিকা রাখতে পারেন।