আশাশুনি প্রতিনিধি \ আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষ্ণা রায়ের সাথে উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের মধ্যম চাপড়া গ্রামে নদী ভাঙ্গনের শিকার মানুষ সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় সভার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ভুক্তভোগি জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন। নদী ভাঙ্গনে বিপর্যস্থরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানান, নদী ভাঙ্গনে গত ৪০ বছরে গ্রামের অসংখ্য ঘরবাড়ি, সহায়—সম্পদ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হাই স্কুলটি তিন—তিনবার স্থানান্তর করতে হয়েছে। ভিটেবাড়ী হারা মানুষের অনেকে মানবেতর জীবন যাপনে বাধ্য হয়েছে। গত বছর ঠিকাদার খনন কাজ অর্ধ কিঃমিঃ বাকী রেখে ও ভেড়ী বাঁধ নির্মান কাজ বন্ধ রেখে মাঝ নদীতে প্রতিবন্ধক ভেড়ীবাঁধ কেটে দিয়ে চলে যায়। ফলে তীরবর্তী বসবাসকারী পরিবার ও ওয়াপদা সংলগ্ন জনপদ হুমকীর মুখে পড়েছে। একটি হাই স্কুল, একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুটি মাদ্রাসা, তিনটি মসজিদসহ আশপাশের জনবসতি নদীগর্ভে বিলীনের উপক্রম হয়েছে। গত বছর খননকৃত নদীর সম্মুখ থেকে আরএস ম্যাপে নদীর প্রবাহ ড্রয়িং করা হয়েছে। যাহা খাস খতিয়ানভুক্ত। সম্প্রতি পাউবোর সার্ভেয়ার স্থানীয় সার্ভেয়ারদের সহায়তায় সেই নদীর উপর লাল পতাকা স্থাপন করে নদী ড্রয়িং করেন। কিন্তু মঙ্গলবার ঠিকাদার পতাকা স্থাপনকৃত স্থানে অর্থাৎ ভরাট হওয়া স্থানে আরএস ম্যাপ অনুযায়ী খননকাজ না করে অন্য স্থানে খননকাজ শুরু করলে এলাকার মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়ে। তারা ইউএনও মহোদয়কে সরজমিন গমন করে প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে জেনে ম্যাপ অনুযায়ী নদী খননের ব্যবস্থা নিতে দাবী জানান। খাস জমিতে খনন কাজ না করে রেকর্ডীয় জমি দিয়ে খনন কাজ করা হলে উপরোক্ত সম্পদসহ এলাকাবাসী ধ্বংসের মুখে পড়বে বলে তারা জানান। ইউএনও কৃষ্ণা রায় সকলের অভিযোগ ধৈয্যর্ সহকারে শোনেন এবং বিষয়টি উপলব্ধি করে জানান, তিনি পাউবোসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে নিয়ে সরজমিন গিয়ে দেখবেন, কথা বলবেন এবং যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সচেষ্ট থাকবেন। তাৎক্ষনিকভাবে তিনি পাউবো কর্মকর্তার সাথে মোবাইলে কথা বলে সকলকে নিয়ে সরেজমিন বসার ব্যাপারে জানান এবং খনন কাজ আপাততঃ বন্ধ রাখার কথা বলেন। এসময় ভাঙ্গন কবলিতদের মধ্যে খায়রুল ইসলাম বাপ্পী, আঃ খালেক, মইনুর ইসলাম, ইমাদুল, আল মামুন, জয়নাল আবেদীন, শফিকুল, ডালিম, খাদিজা, রোমেনা, শিরিনা, আছমা, মাজিদা, মর্জিনা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।