এফএনএস বিদেশ : রাশিয়ার কারণে উত্তর কোরিয়া ও এশিয়া অঞ্চলে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে বলে অভিযোগ তুলেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। মস্কোর কারণে ইউক্রেনের খাদ্য উৎপাদন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। আয়ারল্যান্ডের পার্লামেন্টে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় ইউরোপীয়রা এখনও রাশিয়ার ব্যাংক ও তেলের ওপর পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে না বলেও আক্ষেপ জানান। মিররের খবরে বলা হয়েছে, গত বুধবার আয়ারল্যান্ডের পার্লামেন্টে ভাচুর্য়ালি যুক্ত হয়ে ভাষণ দেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এদিন জেলেনস্কি পার্লামেন্টের আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে বলেন, রাশিয়ার কারণে কেবল ইউক্রেন নয়, উত্তর কোরিয়া ও এশিয়ার কয়েক লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখে পড়তে যাচ্ছে। বৈশ্বিক খাদ্য বাজারে ইউক্রেন অন্যতম একটি দেশ। তবে মস্কোর সামরিক অভিযানের কারণে দেশটির খাদ্য উৎপাদনের অবকাঠামোগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উৎপাদন প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন জেলেনস্কি। জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনে এখন চাষাবাদের সময়। অথচ প্রতিনিয়ত উৎপাদন অবকাঠামোগুলোয় হামলা রীতিমতো খাদ্য সংকটের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ইউক্রেনে রফতানি কার্যক্রম ব্যাহত হলে আফ্রিকা ও এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে। কেননা পর্যাপ্ত পণ্যের সরবরাহ না থাকায় খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়ছে। এ সময় খাদ্য সংকটের কারণে অস্থিতিশীল অঞ্চলগুলোতে সহিংসতা আরও বাড়ার পাশাপাশি শরণার্থী আন্দোলন দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট। এদিন পার্লামেন্টে ইউক্রেনে রাশিয়ার নৃশংসতার কথাও তুলে ধরেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, কিয়েভে রুশ সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত দেড় শতাধিক শিশু নিহত হয়েছে। তারপরও ইউরোপীয় দেশগুলো এখনও রাশিয়ার তেলের ওপর পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন জেলেনস্কি। তিনি বলেন, রুশ সেনারা অ্যাম্বুলেন্স পর্যন্তও ধ্বংস করছে। তারা চার্চে হামলা চালাচ্ছে। তাদের হামলা থেকে রেহাই পাচ্ছে না নারী ও শিশুরাও। নয়শ’ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও তিনশ’ হাসপাতাল ধ্বংস করেছে রুশ সেনারা। ইউক্রেনে সবকিছু পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আমরা এখনও ইউরোপের কিছু দেশকে বোঝানোর চেষ্টা করছি যে, রাশিয়ার সঙ্গে অর্থনৈতিক লেনদেন বন্ধ করা উচিত। যাতে করে তারা ক্ষেপণাস্ত্র, বোমা ও অস্ত্রশস্ত্রের পেছনে অর্থ ব্যয় করতে না পারে। এদিন পার্লামেন্টে আবারও ইউরোপীয় অংশীদারদের রাশিয়ার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহŸান জানান ভলোদিমির জেলেনস্কি।