শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:৫৩ পূর্বাহ্ন

শূন্যরেখায় বৈদ্যুতিক খুঁটি, বিজিবির আপত্তিতে সরিয়ে নিল বিএসএফ

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২৫

এফএনএস: আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে রাতের অঁাধারে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তের শূন্যরেখায় লোহার বৈদ্যুতিক খুঁটি ও একটি বৈদ্যুতিক যন্ত্র স্থাপন করে। পরে পতাকা বৈঠকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) প্রতিবাদ জানালে সেগুলো সরিয়ে নেয় বিএসএফ। গত বুধবার রাতে বিজিবির রংপুর—৬১ ব্যাটালিয়নের (তিস্তা—২) অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল শেখ মুহাম্মদ মুসাহিদ মাসুম সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সদর ইউনিয়ন সীমান্তের শূন্যরেখার মধ্যে লোহার বৈদ্যুতিক খুঁটি ও বৈদ্যুতিক যন্ত্র স্থাপন করে বিএসএফ। বিজিবি ও স্থানীয়রা জানায়, ভারত—বাংলাদেশ সীমান্তের প্রধান পিলার ৮২৯ নম্বরের ২ নম্বর উপপিলার পাটগ্রাম সদর ইউনিয়নের গাটিয়ারভিটা সীমান্তের শূন্যরেখার ৫০ গজ অভ্যন্তরে রাতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার বিএসএফের ৯৮ ব্যাটালিয়নের ফুলকাডাবরী ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা সে দেশের নির্মাণ শ্রমিকদের নিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটি ও যন্ত্র স্থাপন করে। পরদিন ঘটনাস্থলে গিয়ে চাষাবাদ করতে যাওয়া কৃষকরা বিষয়টি দেখতে পেয়ে বিজিবিকে খবর দেন। বিএসএফের কাছে প্রতিবাদ জানিয়ে দ্রুত বৈদ্যুতিক খুঁটি ও যন্ত্র সরিয়ে নিতে বলে বিজিবি এবং পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়ে চিঠি দেয়। পরে ওই সীমান্ত পয়েন্টে গত বুধবার সন্ধ্যায় বিএসএফ—বিজিবির মধ্যে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ২০ মিনিট স্থায়ী বৈঠকে ভারতের পক্ষে ৬ জন বিএসএফের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নের্তৃত্ব দেন ইন্সপেক্টর জিতেন্দ্র সিং। বাংলাদেশের পক্ষে ৬ জনের নের্তৃত্ব দেন সুবেদার মাহবুবর রহমান। বৈঠকে কোনোকিছু না জানিয়ে রাতের অন্ধকারে শূন্যরেখার মধ্যে খুঁটি ও যন্ত্র স্থাপন করার প্রতিবাদ জানায় বিজিবি। বিএসএফকে শূন্যরেখার মধ্যে কোনোকিছু নির্মাণ বা স্থাপনে আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন মেনে চলার আহ্বান জানায় বিজিবি। নির্মিত খুটি ও যন্ত্র সরিয়ে নিতে আহ্বান জানালে স্থাপিত যন্ত্র ও খুঁটি সরিয়ে নেয় বিএসএফ। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রংপুর ৬১ ব্যাটালিয়ন (তিস্তা—২) এর অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল শেখ মুহাম্মদ মুসাহিদ মাসুম বলেন, বিএসএফ জানিয়েছ, তাদের চা বাগানে নাকি বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হয়, এজন্য যন্ত্র ও খুঁটি স্থাপন করেছিল। আমরা স্পষ্ট জানিয়েছি, শূন্যরেখার মধ্যে আন্তর্জাতিক আইন ও চুক্তি অনুযায়ী কোনো স্থাপনা নির্মাণের সুযোগ নেই। না জানিয়ে করা যাবে না। এ নিয়ে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়েছে। তারা নির্মিত স্থাপনা সরিয়ে নিয়েছে। চুপিসারে আর যেন না করে সেজন্য সর্তক দৃষ্টি রাখা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com