এফএনএস: বাগেরহাটে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গত বুধবার বিকাল থেকে সন্ধ্যার পর পর্যন্ত সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কুলিয়াদাইড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আটটি বাড়ি ও কয়েকটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়। দফায়—দফায় হামলায় নারীসহ ২০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মথ্যে ছয় জনকে বাগেরহাট ও খুলনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দলীয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতা মোল্লা মোস্তাফিজুর রহমান ও শেখ রুহুল আমীন গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরই জের ধরে সন্ধ্যায় শেখ রুহুল আমীনসহ তাদের আট ভাইয়ের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়। ঘটনার পর পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। বিএনপির বিবাদমান দুই পক্ষের মধ্যে ফের সংঘর্ষের আশঙ্কায় অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। হামলায় উভয় পক্ষের গুরুতর আহতদের মধ্যে বাগেরহাট হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন শেখ সায়েল উদ্দিন (৬০), লিটন শেখ (২৫), মামুন মোল্লা (৪২), কেরামত আলী (৩৮), রোজিনা বেগম (৪৫)। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মাহমুদ মোল্লাকে (৪৮) খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাগেরহাট সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য শেখ রুহুল আমীন বলেন, গত বুধবার দুপুরে বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন বিএনপি কমিটি গঠন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি আকরাম হোসেন তালিমের সঙ্গে কথা বলে বাড়ি ফেরার পথে কুলিয়াদাইড় গ্রামের ভিআইপি মোড়ে পেঁৗছালে প্রতিপক্ষ মোল্লা মোস্তাফিজ রহমান গ্রপের নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর হামলা চালান। এ সময়ে আমার পক্ষের কয়েকজন আহত হন। বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি মোল্লা মোস্তাফিজুর রহমান গ্রুপের নেতা মাসুম মোল্লা বলেন, আমাদের ওপর হামলার ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিতে আসার পথে শেখ রুহুল আমীন গ্রুপের লোকজন বিকালে আবারও হামলা চালান। এতে আমাদের পাঁচ জন আহত হন। এ ঘটনার জের ধরে সন্ধ্যায় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময়ে রুহুল আমীন ভাইসহ আমাদের আট ভাইয়ের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়। সদর থানার ওসি মো. সাইদুর রহমান বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। ফের সংঘর্ষের আশঙ্কায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা টহল অব্যাহত রেখেছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।