শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৫৭ পূর্বাহ্ন

অস্ত্র রপ্তানি—সামরিক খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী তুরস্ক

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২৫

এফএনএস: বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন জানিয়েছেন বাংলাদেশে অস্ত্র রপ্তানি এবং সামরিক খাতে বিনিয়োগে তুরস্কের আগ্রহ রয়েছে তুরস্কের। তুরস্কের সঙ্গে শিগগিরই জয়েন্ট ইকোনমিক কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে তিনি বলেন, কমিশনের বৈঠকে আমরা খাদ্য থেকে শিল্প, স্বাস্থ্য, শিল্পকারখানা ও বিনিয়োগের বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। এছাড়া তুরস্ক আমাদের এনার্জি, ইন্ডাস্ট্রি, অবকাঠামো ও আগ্রহী বলেও জানান তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে তুরস্কের বাণিজ্য মন্ত্রী ড. প্রফেসর ওমর বোলাট এর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ সব কথা বলেন। তুরস্কের সঙ্গে কি আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, তুরস্কের একটা বড় টিম আজকে এসেছিলো। তারা অর্থনৈতিক সহযোগিতার যে জায়গাগুলো যেমন খাদ্য থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য, শিল্পকারখানা, ফার্মাসিটিক্যালস, ট্যাক্সটাইল, গ্রার্মেন্টস শিল্প কারখানা, রপ্তানি, বিনিয়োগসহ অন্যান্য বিষয়ে আমরা ব্যাপক আলোচনা করেছি। আমাদের একটা জয়েন্ট ইকোনমিক কমিশন আছে। তাদের সঙ্গে একটা বৈঠক এ বছরই হওয়ার বিষয়ে সময় নির্ধারণ করা আছে। মিটিংটা আমরা অতি দ্রুত করতে চাই। আজকের মিটিং যে আলোচনা হয়েছে সেখানে অর্থনৈতিক সহযোগিতাগুলোকে দ্রুত বাস্তায়ন করতে পারি সে ব্যপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য আমাদের আলোচনা হয়েছে। জয়েন্ট ইকোনমিক কমিশনোর মিটিংটা কবে নাগাদ হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুইদেশের সুবিধা মতো দ্রুততম সময়ের মধ্যে করার চেষ্টা করছি। তাদের যে টার্কিস কনস্ট্রাকশন এসোসিয়েশন আছে তারা এসেছেন। তারা আমাদের যে সব প্রকল্পগুলোতে অংশ গ্রহণ করতে পারেন সে বিষয়ে আমরা তাদের জানিয়েছি। তুরস্ক কোনো কোন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে জানতে চাইলে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, তুরস্ক আমাদের এনার্জি খাত, শিল্পায়নের জন্য মেশিনারি ইন্ডাস্ট্রি খাত, অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তুরস্কের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্যিক চিত্রটা কি আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা তুরস্কে রপ্তানি করি ৫০০ মিলিয়ন ডলার, আর আমদানি করি ৪৫০ মিলিয়ন ডলার। আমরা একটু বেশি রপ্তানি করি সে তুলনায় আমদানি কম হয়। গতবছর তুরস্কে রপ্তানি ৩০ শতাংশ বেড়েছে। তুরস্ক ও বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ২৭ কোটির মতো। জনসংখ্যার ভিত্তিতে আমাদের এই বাণিজ্যটা যথেষ্ট বলে মনে করি না। সেটা আরো বহুগুণ বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সম্ভবনাগুলো অর্জনে সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য জয়েন্ট ইকোনমিক কমিশনে ফাংশনাল স্ট্যাজিগুলো তৈরি করবো। বাংলাদেশে তাদের কোন কোন খাতে বিনিয়োগ আছে জানতে চাইলে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, অবশ্যই বাংলাদেশে তাদের বিনিয়োগ আছে। এ পর্যন্ত তারা ৩০০ মিলিয়ন ডলারের মতো বিনিয়োগ করেছে। তারা এলপিজি, সিঙ্গার, কোককোলা, সেবাখাতসহ উৎপাদনশীল খাতেও বিনিয়োগ করেছে। সামরিক সহযোগিতার বিষয়ে কী কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, হয়েছে, তারা জানিয়েছেন যে তাদের সামরিক রপ্তানি প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলারের, তারা উপযুক্ত এবং যুতসই সামরিক প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করছেন। তারা এই খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে। আমরাও এবিষয়ে আগ্রহী। তারা কি আর্মস রপ্তানি করতে চায় এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হ্যা তারা আর্মস রপ্তানি করতে চায়। আমরা শুধু বাণিজ্য আলোচনা করেছি। এবিষয়ে জয়েন্ট ইকোনমিক কমিশনে বিস্তারিত আসবে। তুরস্কে জনশক্তি রপ্তানির বিষয়ে কোনো আলোচনা করেছি কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, না আজকে এবিষয়ে আলোচনা হয়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com