দৃষ্টিপাত রিপোর্ট \ প্রতিবন্ধকতার দুর্ভেদ্য প্রাচীর এক সময় সফলতার বা আস্থার ক্ষেত্র দিন নির্দেশনায় পরিপূর্ণতা পায়। আর এমনটি বর্তমান সময়ে আমাদের দেশের চিকিৎসা ব্যবস্তাকে আলোচিত করেছে এগিয়ে নিচ্ছে সেই সাথে বিদেশমুখি রোগীরা দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় আস্থা রাখতে শুরু করেছে। গত ৫ আগস্ট পট পরিবর্তনের পর প্রতিবেশী দেশের ভিসা প্রদানে জটিলতার সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশীদেরকে ভিসা প্রদানে দীর্ঘসূত্রিতা আবার কোন কোন ক্ষেত্রে নাকচ করার নীতি অবলম্বন করে। মেডিকেল ভিসা প্রাপ্তির ক্ষেত্রেও দীর্ঘসূত্রিতা এবং পরিপূর্ণতার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরী হয়। বাংলাদেশীদেরকে ভারতীয় কতৃর্পক্ষ ভিসা দেবে কিনা সেটা সেই দেশের ইচ্ছার উপর নির্ভর করে। পক্ষান্তরে বাংলাদেশ ভিনদেশী কোন নাগরিককে ভিসা দেবে কিনা সেটা বাংলাদেশের উপরই নির্ভর করে। আগস্ট পরবর্তী মাসগুলোতেও ভিসা প্রাপ্তি জটিলতা লেগেই আছে। বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশী রোগী ভারতের পশ্চিম বাংলার কলিকাতা, বারখাত সহ ব্যাংগোলোর বোম্বে সহ ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে চিকিৎসা গ্রহণ করে আসছিল। আবার বহু সংখ্যক বাংলাদেশী টুরিস্ট ভিসায় ভারতে যেয়ে চিকিৎসা সেবা নিয়ে আসছিল। যথা সময়ে যথাযথভাবে ভিসা না পেয়ে এ দেশীয় রোগীরা চরম বিড়ম্বনায় পড়ে। ডাক্তারের দেখানোর নির্দিষ্ট তারিখ, অপারেশন, টেস্ট প্রভৃতি ক্ষেত্রে বাংলাদেশী রোগীরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। দিনের পর দিন চেষ্টা চালিয়েও ভারতীয় ভিসা না পেয়ে এক পর্যায়ে দেশীয় চিকিৎসকের শরাণপন্ন হয়। গত ৪/৫ মাস যাবৎ এদেশীয় রোগীরা দেশেই চিকিৎসা নিচ্ছে। রাজধানী ঢাকার সরকারি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে শুরু করে বিভাগীয় জেলা এমনকি উপজেলা পর্যায়ের চিকিৎসাকেন্দ্র গুলোতে উপচে পড়া রোগী। দীর্ঘদিন যাবৎ বছরের পর বছর যে সকল বাংলাদেশী রোগী বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করে বিদেশে চিকিৎসা গ্রহণ করে আসছিল সেই সকল রোগীরা বর্তমানে দেশেই সুচিকিৎসা পাচ্ছে এবং বাংলাদেশেই বিশ্বমানের চিকিৎসা ব্যবস্থার চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করছে। যে কোন জটিল রোগের সুচিকিৎসা এবং সবধরনের রোগ নির্ণয় যথাযথভাবে দেশেই হচ্ছে। একাধিক রোগীর সাথে কথা বলে জানা গেছে যারা ইতিপূর্বে ভারতে চিকিৎসা সেবা নিয়ে আসছিল এমন রোগীদের ভাগ্য ভারতীয় ভিসা চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হওয়ায় মনকষ্টে এবং রোগ নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম কিন্তু এক পর্যায়ে দেশেই চিকিৎসা গ্রহণ করে সুস্থ হয়েছি। এক কথায় বলা যায় ভিসা না পাওয়া বা না দেওয়া সাপে বর হয়েছে। ভারত যদি ভিসা কড়াকড়ি না করতো তাহলে দেশীয় চিকিৎসার ক্ষেত্রে মনোযোগী আস্থাশীল বা আগ্রহী হতাম না। দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা অতীতের যে কোন সময় অপেক্ষা বর্তমান সময়ে আধুনিক, উন্নত এবং বিশ্বমানের একই সাথে বিদেশ নির্ভর রোগীরা দেশেই চিকিৎসা নেওয়ায় প্রতিটি হাসপাতাল রোগীতে পূর্ণতা এবং সেবায় এগিয়ে। দেশের রোগীরা দেশীয় চিকিৎসার প্রতি আস্থা রেখেছে আর বর্তমানের এই আস্থার ক্ষেত্রটি চিকিৎসক সহ চিকিৎসা ব্যবস্থায় যারা সংশিষ্ট তাদেরকে ধরে রাখতে হবে। ভারতের ভিসানীতির কল্যানে দেশের রোগীরা দেশের চিকিৎসাতেই সম্পৃক্ত হচ্ছে যা আমাদের দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে অনেক অনেক উচ্চতায় যেমন নিবে অনুরূপ দেশের অর্থ দেশেই থাকছে। এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হবে।