এফএনএস: অন্তর্বতী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ভারতীয় সীমান্তে এ ধরনের সমস্যা হতে থাকবে, আর আমরা ডিল করতে থাকবো। এ ধরনের সমস্যা এর আগেও হয়েছে, ভবিষ্যতেও হবে। সীমান্ত ইস্যু আমরা একদিনে সমস্যার সমাধান করতে পারবো না, আবার কখনো যে হবে না, এ নিশ্চয়তাও দিতে পারবো না। গতকাল বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, ভারতীয় কূটনীতিকরা বলছেন আন্তর্জাতিক আইন মেনে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, আমরা যখন বলছি, এটা আমাদের বোঝাপড়ার বাইরে যাচ্ছি, তখনই তো আমরা বুঝেই বলছি। তখন আলোচনার প্রশ্নও আসে, সেই আলোচনায় আমরা যাবো। তবে সাধারণ হিসাব হচ্ছে, জিরো লাইন থেকে ১৫০ গজ দূরে প্রাচীর থাকবে। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ব্যত্যয় ঘটতে পারে, যেমন তামাবিল সীমান্ত, ওখানে তো ঘর তোলার জায়গায় নেই। ক্ষেত্র বিশেষে এমন জায়গা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেকর দিন তথা আগামী ২০ জানুয়ারি বেইজিং সফরে যাচ্ছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। মার্কিন নতুন প্রশাসনের সঙ্গে অন্তর্বতী সরকারের যোগাযোগ হচ্ছে কিনা-জানতে চাওয়া হয় উপদেষ্টার কাছে। জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বা এ রকম বড় দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের যে সম্পর্ক সেটা কিন্তু সরকার স্পেসিফিক হবে না। নতুন সরকার আসলে তাদের কিছু বক্তব্য থাকতে পারে, সেটা আমরা দেখব। স্পেকুলেশন করার কিছু নেই। আমি কবে গেলাম চীনে সেটা কোনো বিষয় না। আমি মনে করি না, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সরকার পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কে হোঁচট খাবে না। আমরা মনে করি, এটা স্মুথলি চলবে। সম্পর্ক একটা বহমান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, এটাতে পারস্পরিক চাওয়া-পাওয়ার হিসেবে সব সময় একটু-আধটু পরিবর্তন হয়। এ রকম যখন হবে তখন আমরা সেই অনুযায়ী আমাদের পদক্ষেপ নেব এবং আমরা নিতে পারব বলে আমি মনে করি। ভারত, চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কাউকে অসন্তুষ্ট করতে চান না জানিয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, ভারত, চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তিনটি দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ। আমরা অবশ্যই একটা ভারসাম্য সম্পর্ক রক্ষা করব। আমরা কাউকে অসন্তুষ্ট করতে চাই না। কিন্তু আমাদের নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় তাদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখব। প্রসঙ্গত, আগামী ২০ জানুয়ারি প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরে চীন যাবেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। সফরে শেষে আগামী ২৪ জানুয়ারি দেশে ফিরবেন তিনি।