বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৪২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
কলারোয়ায় এতিমখানায় কম্বল বিতরণ কলারোয়ার খোরদোয় যুবদলের কর্মী সমাবেশ কুশোডাঙ্গা স্বেচ্ছাসেবক দলের পক্ষ থেকে সাবেক এমপিকে ফুলেল শুভেচ্ছা কলারোয়ায় বিএনপির সাংগঠনিক আলোচনা সভায় -সাবেক এমপি হাবিব তারুণ্য নির্ভর নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় গুরুত্ব দিতে হবে দেবহাটায় যুব বিভাগের ইয়ুথ লিডারশীপ ট্রেনিং প্রোগ্রাম দেবহাটায় বাংলাদেশ স্কাউটস’র ত্রৈ-বার্ষিক কাউন্সিল সাতক্ষীরায় প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ শ্যামনগরে এইচডি ব্রিক্স ও এমবি ব্রিক্সকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা নিসচা’ডুমুরিয়া উপজেলা শাখার এক জরুরি সভা শ্যামনগরে সুন্দরবন এ্যাপোলো হসপিটাল ও সেবা ক্লিনিক বন্ধ ঘোষণা

তিন মূলনীতি বাদ দিয়ে নতুন ৪ মূলনীতির সুপারিশ

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় বুধবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২৫

এফএনএস: রাষ্ট্র পরিচালনার চার মূলনীতির মধ্যে তিনটি বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেছে সংবিধান সংস্কার কমিশন। গণতন্ত্র বহাল রেখে রাষ্ট্র পরিচালনার নতুন আরও চারটি মূলনীতির সুপারিশ করেছে কমিশন।অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বাধীন সংবিধান সংস্কার কমিশন গতকাল বুধবার প্রধান উপদেষ্টার কাছে তাদের সংস্কারের সুপারিশসংবলিত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। একই দিনে আরও তিনটি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। বাকি তিনটি কমিশন হলো- নির্বাচনব্যবস্থা, দুর্নীতি দমন কমিশন ও পুলিশ সংস্কার কমিশন। বর্তমানে সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার চার মূলনীতি হলো জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা। বর্তমানের চার মূলনীতির মধ্যে শুধু গণতন্ত্র রাখা হয়েছে প্রস্তাবিত নতুন পাঁচ মূলনীতির মধ্যে। সুপারিশ করা নতুন পাঁচটি মূলনীতি হলো- সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার, বহুত্ববাদ ও গণতন্ত্র। সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের মহান আদর্শ এবং ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের জনআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলনস্বরূপ সংবিধান ও রাষ্ট্রের মূলনীতি হিসেবে এই পাঁচটি নীতি প্রস্তাব করা হয়েছে। আর তিন মূলনীতি বাদ দেওয়ার বিষয়ে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কমিশন সংবিধানের মূলনীতি ও রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি হিসেবে ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদ এবং এ সংশ্লিষ্ট সংবিধানের ৮, ৯, ১০ ও ১২ অনুচ্ছেদগুলো বাদ দেওয়ার সুপারিশ করছে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বিষয়ে কমিশনের সুপারিশে বলা হয়, রাষ্ট্রপতির মেয়াদ হবে চার বছর এবং তিনি দুইবারের বেশি এই আসনে অধিষ্ঠিত হতে পারবেন না। রাষ্ট্রপতি নির্বাচকম-লীর (ইলেকটোরাল কলেজ) সংখ্যাগরিষ্ঠদের ভোটে নির্বাচিত হবেন। ইলেকটোরাল কলেজ বা ভোটারদের সমন্বয়ে গঠিত নির্বাচকম-লী আইনসভার উভয় কক্ষের সদস্য প্রতি একটি করে ভোট; প্রতিটি ‘জেলা সমন্বয় কাউন্সিল’ সামষ্টিকভাবে একটি করে ভোট [উদাহরণ: ৬৪টি ‘জেলা সমন্বয় কাউন্সিল’ থাকলে ৬৪টি ভোট]; প্রতিটি ‘সিটি কর্পোরেশন সমন্বয় কাউন্সিল’ সামষ্টিকভাবে একটি করে ভোটের মাধ্যমে এটি গঠিত হবে। সুপারিশের রাষ্ট্রপতি অভিশংসনের বিষয়েও বলা হয়েছে- রাষ্ট্রদ্রোহ, গুরুতর অসদাচরণ বা সংবিধান লঙ্ঘনের জন্য রাষ্ট্রপতিকে অভিশংসন করা যাবে। সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ তুলে ধরে জানান, কমিশন সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে গণভোটের সুপারিশ করেছে। এ ছাড়া দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ চালুর সুপারিশ করেছে। সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশ নিয়ে এখন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে অন্তর্বতী সরকার। সেই আলোচনার মাধ্যমে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হবে, সেসব সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com