ডুমুরিয়া প্রতিনিধি \ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মেহেদী হাসান নামক একজন ভুয়া চিকিৎসককে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাত ৯টায় হাসপাতালের ৭—৮ নং মেডিসিন ওয়ার্ডে তাকে শনাক্ত করা হয়। আটককৃত ভূয়া চিকিৎসক সোনাডাঙ্গা থানাধীন ছোট বয়রা এলাকার হাসানুর রহমানের ছেলে। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সকাল দশটা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত অন্যান্য চিকিৎসকদের সঙ্গে নিয়মিত রোগীদের পরিদর্শন করে আসছিলেন তিনি। তার কর্মকাণ্ড ও আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায়, রাউন্ডে থাকা অন্যান্য চিকিৎসকেরা পরিচয় জানতে চান। এ সময় সে নিজেকে কে—২৬ ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী ও বর্তমানে এই হাসপাতালের ইন্টার্নি চিকিৎসক হিসেবে দাবি করেন। এ সময় তার পরিচয় পত্র দেখতে চাইলে তার নিজ নামীয় একটি কার্ড দেখান। যাচাই—বাছাই করে দেখা যায় কার্ডটি জাল। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদ এর মাধ্যমে তার শরীরে তল্লাশি করে আরো চারটি ভুয়া চিকিৎসকের পরিচয়পত্র পাওয়া যায়। অভিযুক্ত সেই যুবকের বাড়ি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সংলগ্ন ভাঙাপোল এলাকায়। দীর্ঘ সময় জিজ্ঞাসাবাদের পর রাত দশটায় হাসপাতাল প্রশাসনের মাধ্যমে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ বিষয়ে হাসপাতালে কর্মরত ইন্টার্নি চিকিৎসক সাদমান জিহান বলেন, অভিযুক্ত এই ভুয়া চিকিৎসক সকাল থেকেই আমাদের সঙ্গে চিকিৎসকের বেশে রোগী পরিদর্শন করেছেন। তার কাঁধে চিকিৎসকের ব্যবহৃত সরঞ্জাম ছিল। তার নিশ্চয়ই কোন অসৎ উদ্দেশ্য ছিল। আরেক চিকিৎসক ডা. তাহমিদ আল মাশরুর তানভীর বলেন, ভুয়া নাম ও রোল ব্যবহার করে আইডি কার্ড তৈরি করেন এই যুবক। আমরা যাচাই—বাছাই করে দেখি সে ভুয়া। পরবর্তীতে পুলিশকে খবর দেই। এ বিষয়ে সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, একটি সূত্রে জানতে পেরেছি ছেলেটির মানসিক সমস্যা রয়েছে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এজাহার দিলে আমরা মামলা গ্রহণ করব।