এফএনএস: খুলনার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির মারধর করে গাড়িচালক রবিন ইসলাম মদুদের দাঁত ভেঙে দিয়েছেন বলে অভিযোগ মিলেছে। রবিন খুলনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রবিন ইসলাম মদুদ এ অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, দাঁত ভেঙে গেলেও শরীরে অন্যান্য স্থানে আঘাত রয়েছে। এছাড়া ট্রমার মধ্যে পড়ে গেছি। তাই হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছি। তিনি আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার বিচার চেয়ে ইসি সচিব আখতার আহমেদের কাছে লিখিত অভিযোগও জমা দিয়েছেন। এদিকে নির্বাচন ভবনে কর্মরত গাড়ি চালকরা ইসি সচিবের সঙ্গে সাক্ষাত করে ওই কর্মকর্তার যথাযথ শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন। সচিব তাদের যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানা গেছে। রবিন ইসলাম মদুদ তার অভিযোগপত্রে বলেছেন, খুলনার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার অধীনে গাড়িচালক হিসেবে কর্মরত অবস্থায় গত মঙ্গলবার অফিস সহায়ক উশা আফরিন মারফত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির তার অফিস কক্ষে মদুদকে ডেকে নিয়ে যান। সে সময় তার কক্ষে দুইজন কর্মকর্তা ও একজন কর্মচারী ছিলেন। এরা হলেন অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান, খুলনা সদর থানা নির্বাচন কর্মকর্তা মনোরঞ্জন বিশ্বাস ও আঞ্চলিক কর্মকর্তার কার্যালয় এর ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হামিমুর রহমান। মদুদ অভিযোগ করেন, তার কাছে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির গাড়ির চাবি ও গাড়ি চাইলে তিনি লিখিত আকারে বুঝে নিতে বলেন। তখন মদুদের দিকে তেড়ে আসেন হুমায়ুন। উপস্থিত মনোরঞ্জন বিশ্বাস ইশারায় চাবি দিতে বলেন মদুদকে। তখন মদুদ আঞ্চলিক কর্মকর্তার কাছে চাবি দেন। সে সময় হুমায়ুন কবির চাবি গ্রহণ করে উত্তেজিত হয়ে মুদের মুখের উভয় পাশে এলোপাতাড়ি চড় ও ঘুষি মারেন। পরে পায়ের স্যান্ডেল হাতে তুলে নিয়ে মদুদের মাথায় আঘাত করেন। মনোরঞ্জন বিশ্বাস তার হাত ধরে ঠেকাতে গেলে তার ওপরও চড়াও হন হুমায়ুন কবির এবং তাকেও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। মদুদ দরজা খুলে বের হতে গেলে তার পেছন দিকে ধরে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন হুমায়ুন। যার ফলে মদুদের দাঁত ভেঙে যায়। আবেদনে মদুদ আরও উল্লেখ করেন, তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইমারজেন্সিতে গেলে চিকিৎসক মদুদকে চিকিৎসা দেন। চিকিৎসারত অবস্থায় মদুদকে অফিস থেকে বারবার ফোনকল করে ডেকে নিয়ে যান। পরে অফিসে গেলে বদলির চিঠি ও অবমুক্তির আদেশ মদুদের হাতে ধরিয়ে দেন। এ বিষয়ে জানতে মো. হুমায়ুন কবিরকে মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি সাড়া দেননি।