শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ০৯:১১ পূর্বাহ্ন

কালিগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, ১৪৪ ধারা জারি

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় সোমবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০২৫

কালিগঞ্জ প্রতিনিধি \ কালিগঞ্জে বিএনপির বিবাদমান দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তেজনা চরমে পেঁৗছাছে। সোমবার বিকেল ৫টার দিকে উত্তর পার ঢাকা কাউন্টার সংলগ্ন চৌরাস্তা মোড়ে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষ ব্রিজের ওপর গিয়ে ভয়াবহ রূপ নেয়। এ ঘটনায় যুবদলের আব্দুল আজিজ মারাত্মক আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুজা মণ্ডল তাৎক্ষণিকভাবে ১৪৪ ধারা জারি করেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্য অনুযায়ী, পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি পালন করতে সোমবার বিকেল ৪টা থেকে বিএনপির দুটি গ্রুপ পৃথকভাবে মিছিল ও সমাবেশ শুরু করে। তারালী ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শেখ এবাদুল ইসলাম তারালী মোড়ে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করছিল। অন্যদিকে ড. শহিদুল আলমের কর্মী সমর্থক শেখ নুরুজ্জামান, জাহাঙ্গীর আলম, খোকন মেম্বার, আব্দুল আজিজ ও হাফিজুর রহমান বাবুসহ নেতাকর্মীরা দক্ষিণপার ডাক বাংলার মোড়ে প্রতিবাদ সমাবেশ শেষ করে উত্তরপার তারালী ইউনিয়ন বিএনপির শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন সমাবেশস্থলে এসে উত্তেজনাকর শ্লোগান দিতে থাকে এবং অতর্কিত ভাবে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। মুহুর্তেই উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় ইট—পাটকেল নিক্ষেপ ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনায় পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সংঘর্ষ চলাকালে এসএম বাবুর নেতৃত্বাধীন গ্রুপ প্রায় ১০—১৫টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুজা মণ্ডল, থানার অফিসার ইনচার্জ হাফিজুর রহমানসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং সংঘর্ষ থামাতে সেনাবাহিনীকে খবর দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। সেনাবাহিনীর সদস্যরা কাঁকাশিলী ব্রিজ পার হয়ে উত্তরপাড় চৌরাস্তা মোড় কাঁচাবাজারে বেধড়ক লাঠিচার্জ শুরু করে। এ সময় দৈনিক দৃষ্টিপাতের উপজেলা প্রতিনিধি এসএম আহম্মাদ উল্যাহ বাচ্চুকে পিটিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করলে তার বাম হাতের একটা আঙ্গুল মারাত্মক চোট পায়। তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ১৪৪ ধারা জারি করেন। স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, গত ৭ জানুয়ারী তারালী ও চাম্পাফুল ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার পর থেকেই এই দ্বন্দ্ব শুরু হয়। কমিটি বিলুপ্তির দাবিতে প্রতিবাদ—বিক্ষোভ করতে থাকে পদ বঞ্চিত পক্ষ। এর জের ধরেই সোমবারের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে সচেতন মহল মনে করছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ প্রতিনিধিকে জানান, আগামিকাল ভোর ছয়টা পর্যন্ত এই ১৪৪ ধারা জারি থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com