এফএনএস: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন,মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়া পলিসি কাজ করছে না বলে অনেকেই মনে করছেন। কিন্তু, বাস্তবে তা কার্যকর হচ্ছে। উন্নত দেশগুলোতেও পদক্ষেপ নেওয়ার পর ১০ থেকে ১২ মাস সময় লাগে সুফল পেতে। আমরা আশা করছি, আগামী জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়া পলিসির ভালো ফল পাওয়া যাবে। গতকাল বুধবার দনিক প্রথম আলো আয়োজিত ‘ডিজিটাল লেনদেনের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা: পরিপ্রেক্ষিত ভ্যাট বৃদ্ধি’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খানসহ কয়েকটি ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন। গভর্নর বলেন, রাজস্ব খাতে নানা ধরনের সংস্কার দরকার। এর মধ্যে অন্যতমÍ কর ও শুল্ক অনলাইনে দেওয়ার ব্যবস্থা করা। তা করতে দুই বছর থেকে তিন বছর প্রয়োজন। কর ও শুল্ক যদি পুরোপুরি অনলাইনে দেওয়া না যায়, তাহলে এ খাতে দুর্নীতি কমবে না, সম্ভব হবে না। তিনি বলেন, রাজস্ব খাতে অনেক ধরনের সংস্কার দরকার রয়েছে। ইমিডিয়েটলি রাজস্ব খাতে বড় ধরনের সংস্কার সম্ভব হবে না। তবে, আমরা সংস্কার শুরু করব। পণ্য আমদানি থেকে উৎপাদন ও বিক্রি পর্যন্ত ভ্যাট ১০ শতাংশের বেশি হওয়া উচিত নয়। বর্তমানে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত ভ্যাট দিতে হচ্ছে, যা অনেকের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আহসান এইচ মনসুর বলেন, বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে ডিপোজিট প্রবৃদ্ধি কম। ব্যাংকিং খাতে ন্যূনতম ১৪ থেকে ১৬ শতাংশ পর্যন্ত ডিপোজিট প্রবৃদ্ধি হওয়া উচিত। এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, আগামী বাজেটে একটা বড় পরিবর্তন দেখা যাবে। এজন্য ব্যবসায়ীদের স্বচ্ছতার ওপর জোর দিতে হবে। ব্যবসায়ী ছাড়াও যার যে কর আসে, সেটা দিতে হবে।