রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:১৯ পূর্বাহ্ন

বাড়ি বাড়ি না গিয়েই কাল শেষ হচ্ছে ভোটার হালনাগাদ

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

জিএম শাহনেওয়াজ ঢাকা থেকে \ আগামীকাল ৩ ফেব্রুয়ারি শেষ হচ্ছে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারেরর তথ্য সংগ্রহের কাজ। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ঘোষিত সময়নুযায়ী রাজধানীসহ সারাদেশের অনেক এলাকায় বাড়িতে বাড়িতে না গিয়েই শেষ হচ্ছে তথ্য সংগ্রহের কাজ। এ নিয়ে ইসির বিরুদ্ধে ক্ষোভ জাানিয়েছেন বাদপড়ারা। তারা জানান, এবার হালনাগাদে ভোটার না হলে দীর্ঘসূত্রতায় পড়তে পারেন। আরও জানান, যারা এখন পর্যন্ত ভোটার হয়েছেন বলে তারা জেনেছেন, সবাই তথ্য সংগ্রহকারীদের কাছে স্বউদ্যেগে হয়েছেন। বাড়িতে আসবেন তথ্য সংগ্রহকারীরা এ কারণে তারা যোগাযোগ করেননি বলেও জানান বাদপড়াদের কেউ কেউ। সরেজমিন খোঁজ নিয়ে সত্যতা পাওয়া যায়। এলাকাবাসির অভিযোগ, রাজধানীর বেশির ভাগ এলাকায় তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি আসেননি। উলে¬খযোগ্য এলাকার মধ্যে রয়েছে, ঢাকার আজিমপুর, বনশ্রী, ডেমরা, খিলগাঁও মাদারটেক, মিরপুর এবং মানিকদি। রাজধানীর অন্যান্য এলাকার চিত্রও একই বলে জানা যায়। ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, আমরা বিষয়গুলো দেখছি। দুংচিন্তা করার কারণ নেই। আমরা কমিশনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করব, যাতে একজন ভোটারযোগ্য নাগরিক তালিকা থেকে বাদ না পড়েন। ঢাকার লালবাগ রোড এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ ফারুক। তিনি জানান, তার পরিবারে চারজন ভোটারযোগ্য মানুষ রয়েছেন। তার ছোট ভাইয়ের পরিবারে আরও পাঁচ সব মিলিয়ে নয়জন। তিনি বলেন, আমি জেনেছি, — আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি ভোটার তালিকা হালনাগাদের তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ হবে। এখনও তার বাড়ি কিংবা এলাকায় ভোটার কাজে নিংযুক্ত তথ্য সংগ্রহকারী কেউ আসেননি। এ বছর ভোটার হতে না পারলে তারা দীর্ঘসূত্রতার মধ্যে পড়ে যেতে পারেন বলে তার আশঙ্কার কথা জানান। অভিযোগ করে তিনি আরও জানান, এই ভোটার উপলক্ষ্যে স্থানীয় ওয়ার্ড কমিশনারের কার্যালয়ে চলছে সনদ বাণিজ্য। কোন নাগরিক প্রত্যয়নের জন্য গেলে তার নিকট থেকে জনপ্রতি আদায় করা হচ্ছে ৫০০ টাকা। অথচ একটা প্রত্যয়নের সরকারি রেট মাত্র ৫০ টাকা। তার পরিবারের নয়জনের জন্য প্রায় ৫ হাজার টাকা লাগবে বলে জানান তিনি। আজিমপুরের বাসিন্দা সালাউদ্দিন ভুলু। তিনিও অভিযোগ করে বলেন, তার নিকটত্নীয়ের দুইজন সন্তান এবার ভোটার হবেন। কিন্তু তথ্য সংগ্রহকারী কেউ না আসায় এখনও ভোটার হতে পারেননি। এ নিয়ে ওই পরিবারটি উদ্বিগ্ন বলে তিনি জানান। দুইজনের একজন মুসিফ মোস্তফা মাহির এবং অন্যজন ওয়াসিফ মোস্তফা শিশির বলে তিনি জানান। আবু বকর সিদ্দিকের বাসা ক্যান্টনমেন্টের মানিকদি এলাকায়। তার বাসা কিংবা ভবনে তথ্য সংগ্রহকারী যাননি বলে জানান। আর খিলগাঁও মাদারটেক এলাকায় থাকেন বেসরকারি ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার নাজমূল হাসান রিপন। তিনি জানান, ভোটার হালনাগাদ চলছে এ সংক্রান্ত কোন প্রচার তার নজরে পড়েনি। পাশেই থাকা তার স্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ভোটার ফরম পূরণের জন্য কেউ তাদের বাসায় আসেননি। উলে−খ্য, ১৮ বছরে পর্দাপণ করা নাগরিকদের ভোটার করার উদ্যোগ নিয়ে গত ২০ জানুয়ারি থেকে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি পযন্তÍ টানা ১৫দিন বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের কর্মসূচি হাতে নিয়েছিল কমিশন। আগামীকাল সেই তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ হচ্ছে। পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে তথ্য ফর্ম পূরণ করা নতুন নাগরিকদের ছবিতুলে ভোটার নিবন্ধন করার কাজ শুরু হবে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে। এ কর্মসূচি চলবে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত। শনিবার পর্যন্ত ১৮ লাখের মতো নতুন নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করেছে ইসি। কিন্তু বাড়ি বাড়ি না যাওয়ায় এখনও তালিকার বাইরে আছেন অনেক ভোটারযোগ্য নাগরিক।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com