এফএনএস: গত ৫ আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের যে ন্যারেটিভ, তা টিকিয়ে রাখা জরুরি’ উল্লেখ করে অন্তর্বতীর্কালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, তারা একটা নতুন ন্যারেটিভ তৈরি করতে চাচ্ছে। বিশ্বকে বোঝাতে চাইছে, তোমরা যে এটাকে গণঅভ্যুত্থান বলছো, সেটা আসলে তা না। গতকাল শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে চব্বিশের গণ—অভ্যুত্থান নিয়ে দ্রোহের গ্রাফিতির প্রকাশনা উৎসবে এ মন্তব্য করেন তিনি। প্রেস সচিব বলেন, আওয়ামী লীগ ও পতিত স্বৈরাচার, চোরতন্ত্রের জননী, গুমের জননী; তারা চাইছেন বাংলাদেশের যে ন্যারেটিভ, সেটাকে চ্যালেঞ্জ করতে। বারবার ওদের বার্তাগুলো দেখেন। ৩ হাজার পুলিশ মারা গেছেন, ড. ইউনূস হচ্ছে জঙ্গি লিডার, ইউনূসকে ঘিরে আছেন কারা, জঙ্গিরা; এটা খুবই ওয়েল অরকেস্ট্রেটেড ক্যাম্পেইন। ভারতীয় গণমাধ্যমও এটার সঙ্গে জড়িত। এর পেছনে হাসিনার অলিগার্করা মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করেছে। তিনি বলেন, এটা বড় রকমের একটা চক্রান্ত। তারা বোঝাতে চাইছে যে, আমাদের দেশে যেটা হয়েছে, সেটা আসলে গ্লোবাল অর্ডারের বাইরের একটা কিছু। অন্তর্বতীর্ সরকারকে অনেকেই ব্যর্থ প্রমাণের চেষ্টায় লিপ্ত আছেন উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন, তারা মিলিয়ন ডলার খরচ করছে। অথচ ড. ইউনূস কিন্তু ছয় দশক ধরে পাবলিকলি আছেন একটা স্বচ্ছ ইমেজ নিয়ে। আমাদের অপপ্রচার যারা করে তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে যেন আর কোনোদিনই আওয়ামী স্বৈরাচার ও তাদের সাঙ্গ—পাঙ্গরা ফিরতে না পারে, সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, তথ্য উপাত্তের অভাবে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরবর্তী সময়ে দুবছরের শিশু থেকে শুরু করে বিরোধীরাও মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। এমনকি ডাকাত মুক্তিযোদ্ধা হয়ে গিয়েছিল, মন্ত্রীও হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার এই প্রেস সচিব বলেন, আমাদের এত বড় একটা যুদ্ধ হলো অথচ তেমন কোনও শক্ত ডকুমেন্টারি নেই। আপনি সেই সময়কার পত্রিকাগুলো পড়লে বুঝতে পারবেন। শেখ মুজিবের অর্থনৈতিক পলিসি কিন্তু খুবই বাজে ছিল। এটাকে আমি সুইসাইডাল বলবো। সেটা বাংলাদেশকে আরও গরিবের দিকে নিয়ে গেছে। তার প্রথম কয়েক মাস দেখলেই বুঝতে পারবেন।