ডুমুরিয়া প্রতিনিধি \ নগরীর বুড়ো মৌলভীর দরগা মেইন রোডে জনৈক আশরাফুলের বাড়ির ভাড়াটিয়া এক যুবকের হাত পা কাটা রক্তাক্ত ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে লাশটি উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়। নিহত মোঃ সোহেল রানা (৩২) বরিশালের বন্দর থানাধীন চড়াইচা গ্রামের মৃত আশরাফ শেখের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবাস জীবন কাটিয়ে স¤প্রতি দেশে ফিরেছিলেন। পুলিশের সূত্র জানান, রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নগরীর ১৬৮ বুড়ো মৌলভীর দরগা মেইন রোডের বাসিন্দা আশরাফুল আলমের তিনতলা বাড়ির নিচতলার ভাড়াটিয়া মোঃ সোহেল রানা (৩২) তার স্ত্রী শারমিন (২৬) কে নিয়ে বসবাস করতেন। শারমিন খুলনার লবণচরা থানাধীন বান্দা বাজার কামার গলির শাহ আলমের কন্যা। শ্বশুর বাড়িতে স্ত্রী শারমিনের সাথে রাত যাপন করে রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বের হয়ে আসে সোহেল রানা। পরে তার স্ত্রী বারবার ফোনে যোগাযোগ করলে, ফোনে না পেয়ে আত্মীয়—স্বজনকে সাথে নিয়ে পুলিশের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে শয়নকক্ষে সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না দিয়ে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। পুলিশ জানায়, নিহতের কপালে, হাতে, পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের ক্ষত রয়েছে। প্রচুর রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়। ফ্লোরে ও রান্নাঘরে বেসিংয়ের মধ্যে দু’টি ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নিহতের তার বড় ভাই খোকনের সাথে টাকা—পয়সা ও জমি—জায়গা নিয়ে ব্যাপক মনোমালিন্য চলছিল। সোহেল রানা দীর্ঘদিন দক্ষিণ কোরিয়ায় থেকে টাকা পয়সা সবকিছু বড় ভাই খোকনের কাছে পাঠিয়েছিল। খোকন তার ভাইকে টাকা—পয়সা, সম্পত্তি সন্তোষজনক ভাবে বুঝিয়ে দিতে না পারার জের ধরে এ ধরনের হত্যাযজ্ঞ ঘটিয়েছে বলে তার স্বজনদের ধারণা। খুলনার সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মুনীর উল গিয়াস জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্যে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। একই সাথে বিষয়টি গুরুত্বের গভীর ভাবে তদন্ত চলছে।