শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:০১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
দেবহাটা প্রেসক্লাবের পুষ্পস্তবক অর্পণ দেবহাটা সরকরি পাইলট হাইস্কুলের মাতৃভাষা দিবস পালন দেবহাটায় বিনম্র শ্রদ্ধায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত দেশসেবায় ক্যাডেটদের আত্মনিয়োগ করতে হবে : সেনাপ্রধান মাতৃভাষার জন্য জীবনদানের ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন : প্রধান উপদেষ্টা সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে আলোচনা সভা সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির প্রস্তুুতি সভা অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরায় জাতীয়পার্টির আয়োজনে একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে আলোচনা সভা শ্যামনগরে জামায়াতের কর্মী সম্মেলন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন উপলক্ষে নূরনগরে মিছিল ও পথসভা অনুষ্ঠিত

নিশি রাতের নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা ৩৩ ডিসি ওএসডি

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

এফএনএস \ ২০১৮ সালের নিশি রাতের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা ৩৩ ডিসিকে ওএসডি। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত ছয়টি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। ওএসডি হওয়া এসব কর্মকর্তাদের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ব্যস্ত করা হয়েছে। এই ৩৩ জন যুগ্মসচিব পদে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগে কর্মরত ছিলেন। প্রসঙ্গত, ‘ওএসডি’ একটি বিশেষ ধরনের পোস্টিং এবং এর পূর্ণরূপ হলো— ‘অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি’ বা বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। ব্রিটিশ শাসনামলে তৎকালীন ভারতীয় সিভিল সার্ভিসে ওএসডি’র বিধান চালু করা হয়, যার চর্চা পাকিস্তান আমলেও বলবৎ ছিল। অতীতের রীতি মেনে স্বাধীন বাংলাদেশেও সরকারি কর্মকর্তাদেরকে ওএসডি করার নিয়ম রাখা হয়। সেই ধারাতেই একাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় দায়িত্ব পালন করা জেলা প্রশাসকদের ওএসডি করলো সরকার। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসেছিল আওয়ামী লীগ। তবে এই নির্বাচন নিয়ে অনেক প্রশ্ন ও বিতর্ক রয়েছে। এর আগের অর্থাৎ ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন করলেও ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো। কিন্তু ওই নির্বাচনে ভোটগ্রহণের আগের রাতেই ব্যালট বাক্স ভর্তি করে রাখার অভিযোগ ওঠে তখনকার সরকারি দলের বিরুদ্ধে। ভোট শুরুর আগের মুহূর্তে চট্টগ্রামের একটি কেন্দ্রে বিবিসি বাংলার সাংবাদিকের ক্যামেরায়ও ধরা পড়েছিল ব্যালট ভর্তি বাক্স। নির্বাচনের ফলাফলও ছিল সম্পূর্ণ এক পক্ষীয়। আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও জোটসঙ্গীরা ২৮৮টি আসন পায়। আর বিএনপি এবং ঐক্যফ্রন্ট পায় মাত্র সাতটি। বাকি তিনটি আসন পায় অন্যান্যরা। অনেক ভোট কেন্দ্রে এক শ’ ভাগ ভোট পড়ে বলে ফলাফলে দেখা যায়। ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর বাইরে অন্য কেউ ভোট পাননি অনেক কেন্দ্রে। নির্বাচনের ছয় মাস পরে নির্বাচন কমিশন কেন্দ্র—ভিত্তিক যে ফলাফল প্রকাশ করে, তা পর্যালোচনা করে সুজন নামের একটি সংগঠন যে প্রতিবেদন প্রকাশ করে, তাতে দেখা যায় যে— ৭৫টি আসনের ৫৮৬টি কেন্দ্রে যত বৈধ ভোট পড়েছে, তার সবগুলোই আওয়ামী লীগের অর্থাৎ নৌকা মার্কার প্রার্থীরা পেয়েছেন। যদিও নির্বাচনের পরদিন তখনকার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা সংবাদ সম্মেলন করে মোট ভোটারের ৮০ শতাংশ ভোট দিয়েছেন বলে দাবি করেছিলেন। সূত্র : বিবিসি

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com