শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৩:৪০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
দেবহাটা প্রেসক্লাবের পুষ্পস্তবক অর্পণ দেবহাটা সরকরি পাইলট হাইস্কুলের মাতৃভাষা দিবস পালন দেবহাটায় বিনম্র শ্রদ্ধায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত দেশসেবায় ক্যাডেটদের আত্মনিয়োগ করতে হবে : সেনাপ্রধান মাতৃভাষার জন্য জীবনদানের ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন : প্রধান উপদেষ্টা সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে আলোচনা সভা সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির প্রস্তুুতি সভা অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরায় জাতীয়পার্টির আয়োজনে একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে আলোচনা সভা শ্যামনগরে জামায়াতের কর্মী সম্মেলন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন উপলক্ষে নূরনগরে মিছিল ও পথসভা অনুষ্ঠিত

ছাত্র রাজনীতিকে ‘লাল কার্ড’ দেখালেন কুয়েট শিক্ষার্থীরা

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

এফএনএস: খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীরা ভিসি, রাজনীতি ও সন্ত্রাসীদের লাল কার্ড দেখিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে শিক্ষার্থীরা কুয়েটের দুর্বার বাংলা প্রাঙ্গণে তারা লাল কার্ড প্রদর্শনের এ কর্মসূচি পালন করেছেন। এছাড়া ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচি অব্যাহত রাখার কথা জানান শিক্ষার্থীরা। এসময় কুয়েটের বিভিন্ন সাইনবোর্ড, দেয়ালসহ অন্যান্য স্থানে লাল রং দিয়ে ‘রক্তাক্ত কুয়েট’সহ বিভিন্ন লেখা লিখে গ্রাফিতি অঙ্কন করেছেন তারা। বিক্ষোভে ‘শিক্ষা—সন্ত্রাস একসঙ্গে চলে না’, ‘আমার ভাইকে মারল কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘সন্ত্রাসীদের ঠিকানা, শিক্ষার্থীর রক্ত ঝরে প্রশাসন তামাশা করে’, ‘ঝড়ছে আমার ভাইয়ের রক্ত সন্ত্রাস তোদের পরিণাম তিক্ত, এই কুয়েটে হবে না’, ‘কুয়েটে যখন রক্ত ঝরে, আবরার তোমায় মনে পড়ে‘ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের। এছাড়াও কুয়েটের দুর্বার বাংলায় স্থাপিত ভাস্কর্যের চোখে কালো কাপড় দিয়ে মুড়ে দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা বলেন, কুয়েট একটি অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। কুয়েটে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড হবে না। কুয়েট সাধারণ শিক্ষার্থীদের। এখানে কেউ রাজনীতি করতে চাইলে তাকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ছাত্রমৈত্রীসহ সকল ছাত্র সংগঠনের নাম উল্লেখ করে তাদের লাল কার্ড দেখানোর ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরে কুয়েট শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে ছাত্রদলের কমিটি গঠন নিয়ে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া চলছিল। সোমবার তারা ক্যাম্পাসে লিফলেট বিতরণ করেন। মঙ্গলবার সকালে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিতে শিক্ষার্থীরা মিছিল বের করে। পরে উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও করলে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে শিক্ষার্থীরা ‘এই ক্যাম্পাসে হবে না, ছাত্র রাজনীতির ঠিকানা’ ‘ছাত্র রাজনীতি ঠিকানা, এই কুয়েটে হবে না’, ‘দাবি মোদের একটায়, রাজনীতি মুক্ত ক্যাম্পাস চাই’ —সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দিতে হলগুলো প্রদক্ষিণ করে। পরে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে ছাত্রদের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে ধাওয়া—পাল্টাধাওয়া কুয়েটের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ে। নগরীর রেলিগেট, তেলিগাতিসহ আশপাশের বিএনপি নেতাকর্মীরা ছাত্রদলের সঙ্গে এবং সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগ দিলে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেয়। প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী আহত হন। তাদের অধিকাংশের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। সংঘর্ষের সময় ধারালো অস্ত্র হাতে বেশ কয়েকজনকে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে দেখা যায়। সংঘর্ষে সময় ধারালো অস্ত্র (রামদা) হাতে অবস্থান নেওয়া দৌলতপুর থানা যুবদলের সহ—সভাপতি মাহবুবুর রহমানকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কুয়েট শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ব্যর্থতার দায় স্বীকার এবং নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে উপাচার্য, উপ—উপাচার্য ও ছাত্রবিষয়ক পরিচালকের পদত্যাগসহ ৫ দফা দাবিতে গত বুধবার দুপুর দেড়টায় প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয় শিক্ষার্থীরা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) একাডেমিক কার্যক্রম আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করা হয়। গত বুধবার সিন্ডিকেটের ৯৮তম বিশেষ জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com