রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৫৪ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

এক জিম্মি ফেরত না দেওয়ায় হামাসকে মূল্য দিতে হবে: নেতানিয়াহু

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

এফএনএস : ইসরায়েলকে ফেরত দেওয়া চার জিম্মির মৃতদেহর মধ্যে শিরি বিবাসের দেহ না থাকায় হামাসকে এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী। ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস যে চার জিম্মির মৃতদেহ ইসরায়েলকে দিয়েছে, তার মধ্যে জিম্মি শিরি বিবাসের দেহ নেই বলে অভিযোগ করেছে তেল আবিব। তাকে ফেরত না দেওয়ার জন্য হামাসকে মূল্য দিতে হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এক ভিডিও বিবৃতিতে তিনি বলেন, “আমরা শিরিসহ সব জীবিত কিংবা মৃত জিম্মিকে ফিরিযে় আনতে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। হামাসকে এই নির্মম এবং অশুভ যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের মূল্য দিতে হবে।” এর আগে, শুক্রবার ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলেছে, তারা যে ৪টি মৃতদেহ পেয়েছে তার মধ্যে ৯ মাস বয়সী কাফির বিবাস ও তার চার বছর বয়সী ভাই অ্যারিয়েল থাকলেও তাদের মা শিরি নেই। যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী, শিরিসহ চারজনকে হস্তান্তরের কথা ছিল। ইসরায়েল আরও জানায়, শিরির বদলে যে মৃতদেহটি দেওয়া হয়েছে তা কোনও জিম্মির সঙ্গেই মেলে না এবং তার পরিচয়ও জানা নেই। নেতানিয়াহু অভিযোগ করেছেন, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের আক্রমণের সময় শিরি বিবাসসহ তার দুই সন্তান এবং স্বামী ইয়ারদেনকে জিম্মি করা হয়। অপহৃত শিরি বিবাসের পরিবর্তে গাজার এক নারীর মৃতদেহ কফিনে রেখে হামাস ‘অবর্ণনীয় নিষ্ঠুর’ আচরণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন নেতানিয়াহু। তবে, হামাস পরিচালিত গাজা সরকারের মিডিয়া অফিসের পরিচালক ইসমাইল আল—তাওয়াবা বলেছেন, “ইসরায়েলের বিমান হামলার সময় ভবনের ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়ে শিরি বিবাসের দেহাবশেষ সম্ভবত অন্য দেহাবশেষের সঙ্গে মিশে গেছে।” এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “নেতানিয়াহু সরাসরি এবং নির্দয়ভাবে বোমা হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। ফলে শিরি বিবাস ও তার সন্তানদের মৃত্যুর পূর্ণ দায় তার ওপরই বর্তায়।” ২০২৩ সালে হামাস জানিয়েছিল, ইসরায়েলের হামলায় মা ও শিশুদের মৃত্যু হয়েছে। তবে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলছে, গোয়েন্দা তথ্য এবং মৃতদেহের ফরেনসিক বিশ্লেষণ বলছে, তাদেরকে ইচ্ছাকৃতভাবেই মেরে ফেলা হয়েছে। বিবাসের দেহ না পাওয়ার পাল্টায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েল কী জবাব দেবে সে ব্যাপারে নেতানিয়াহু বিস্তারিত কিছু বলেননি। তবে তিনি যে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাতে গাজায় গত মাসে হওয়া যুদ্ধবিরতির নাজুক অবস্থাই প্রকাশ পেয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, শনিবার মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে ছয় জীবিত জিম্মির। একইসঙ্গে আগামী দিনগুলোতে যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যাযে়র আলোচনাও শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com