এস এম জাকির হোসেন শ্যামনগর থেকে \ শ্যামনগর উপজেলায় ২৩ ফেব্রুয়ারি রবিবার দীর্ঘ ১৭ বছর পর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখবেন অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্যাহ, মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, মুহাদ্দিস হাফেজ রবিউল বাশার, অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম মুকুল, সাতক্ষীরা—০৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গাজী নজরুল ইসলাম সহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন শ্যামনগর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওঃ আমির রহমান। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী শ্যামনগর উপজেলা শাখার আয়োজনে নকিপুর সরকারি হরিচরণ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এই কর্মী সম্মেলন দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম পর্বে সকাল ৯ টায় নারী কর্মী সম্মেলন এবং দ্বিতীয় পর্বে দুপুর ২টায় পুরুষ কর্মীরা এই সম্মেলনে অংশ নেবেন। সম্মেলনকে ঘিরে শ্যামনগর, কালিগঞ্জ সহ পার্শ্ববর্তী উপজেলা এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সাঁটানো হয়েছে পোস্টার, টাঙানো হয়েছে ব্যানার এবং ফেস্টুন। উপজেলা সদরের প্রবেশ পথগুলোতে নির্মাণ করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন তোরণ। নকিপুর সরকারি হরিচরণ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে কর্মীদের বসার জন্য চেয়ারের ব্যবস্থা রেখে মাঠজুড়ে তৈরি করা হয়েছে প্যান্ডেল। এর আগে ২০০৮ সালে একই স্থানে সমাবেশ করেছিলো জামায়াত ইসলামী। কর্মী সম্মেলন সফল করতে ইতোমধ্যে প্রায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে দলটি। গত ২২ ফেব্রুয়ারি শনিবার বেলা ১১ টায় উপজেলা জামায়াতের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওঃ আব্দুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা কর্ম পরিষদ সদস্য প্রভাষক আব্দুল জলিল, জেলা ইউনিটের শুরা সদস্য মাওঃ আব্দুল মজিদ, উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওঃ মইনুদ্দিন মাহমুদ, অফিস সেক্রেটারি প্রভাষক মহসিন আলম, সহকারী সেক্রেটারি মাওঃ আব্দুল হামিদ প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় সম্মেলনের মাধ্যমে শ্যামনগর উপজেলার উন্নয়নের রূপরেখা সরকারকে জানানো হবে। পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়িত হলে শ্যামনগর মডেল উপজেলায় পরিণত হবে এবং জনগণ তাদের অধিকার পুনরুদ্ধার করতে পারবে। নেতৃবৃন্দ আশা প্রকাশ করেন, এই কর্মী সম্মেলনের মাধ্যমে সংগঠনের কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে এবং দলের কর্মীরা নতুন উদ্দীপনায় কাজ করতে অনুপ্রাণিত হবেন।