রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০২:১৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

সাতক্ষীরার গ্রামীন অর্থনীতিকে এগিয়ে নিচ্ছে মা বোনেরা হাঁস—মুরগী, গরু—ছাগল পালনে ঘটছে রীতিমত বিপ্লব

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় শনিবার, ১ মার্চ, ২০২৫

দৃষ্টিপাত রিপোর্ট \ একদা গ্রামীন অর্থনীতিতে গ্রামীন জনপদের ভূমিকাই ছিল উচ্চতায়। সময়ের ব্যবধানে গ্রামীন অর্থনীতির বুনিয়াদ মা বোনদের হাঁস মুরগী পালন, গরু—ছাগল পোষা, কাঁথা সেলাই, বিভিন্ন ধরনের মাচান ভিত্তিক সবজি চাষ হারিয়ে যেতে বসে। গ্রামীন অর্থনীতিতে কৃত্রিমতা, যন্ত্রযুগ সর্বপরি প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটতে দেখা যায়। কিন্তু অধিক পুঁজি আবার ব্যবসায় সর্বাধিক বিনিয়োগের কারণে লভ্যাংশের ক্ষেত্র সংকুচিত হতে থাকা অন্যদিকে মা বোনদের খরোয়া অর্থনৈতিক ক্ষেত্র অদৃশ্য হতে থাকে। কিন্তু গ্রামীন অর্থনীতির বুনিয়াদ সৃষ্টিতে মা বোনদের অবদান কোন ভাবেই কম নয়। হারিয়ে যাওয়া, প্রায় অদৃশ্য হওয়া মা বোনদের অতি নিবিড়ভাবে স্পর্শ করা হাঁস মুরগী পালনের ক্ষেত্র আবারও বিকশিত হয়েছে। পোল্টি্র শিল্পের অপ্রতিরোধ্য এগিয়ে চলায় অল্প পুঁজি এবং ধীর গতিতে ক্রমবর্ধমান দেশী হাঁস মুরগীর চাষাবাদ কেবল লাভজনক নয় অত্যাধিক চাহিদার ক্ষেত্র বির্নিমান করেছে। দেশী মুরগীরি দু®প্রপতা যেমন মূল্য অত্যাধিক। একজন মা একটি মোরগ বা দেশী মুরগী পালনের মাধ্যমে তিন থেকে চার মাসের মধ্যে কয়েক হাজার টাকার মোরগ মুরগীর মালিকানা অর্জন করতে পারেন। বর্তমানে সাতক্ষীরার গ্রামে গ্রামে মা বোন বা দেশী হাঁস মুরগীর চাষাবাদে ঝুঁকছে। প্রতিটি দেশী মুরগীর প্রতি কেজি মূল্য ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা। এবং চীনা হাঁসের প্রতি কেজি ৩৭০ থেকে ৩৮০ টাকা। সাতক্ষীরার গ্রামে গ্রামে দেশী মুরগীর চাষ ঘরোয়া ভিত্তিকের পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে হচ্ছে যা গ্রামীন অর্থনীতিকে চাঙ্গা করছে। গোয়াল ভরা গরু আর পুকুর ভরা মাছের সেই চিরায়ত বাঙ্গালী পনায় আবারও সংমিশ্রণ ঘটেছে। ঘরে ঘরে গরু পালন বেড়েছে। বিশেষ করে গাভীন গুরু এবং এড়ে গরুর প্রতি ঝুঁকছে মায়েরা। সাতক্ষীরার দেবহাটা কুলিয়ার সকিনা বেগম নামের এক মা দেশী মুরগী পালনের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত অর্থনৈতিকভাবে সফল হচ্ছে। তিনি জানান মুরগীর ডিম ঘরোয়া পরিবেশে মা মুরগীর মাধ্যমে (স্থানীয় ভাষায় যাকে তাবা দেওয়া বলে) বাচ্চা ফুটিয়ে তা পালন করেন। একইভাবে দেশী ও চিনা প্রজাতীর হাঁস পালন করে চলেছেন। সদর উপজেলার আলীপুরের মমতাজ বেগম গাভীন গরু পালন করে চলেছেন। একইভাবে বিনেরপোতার মৌ পারভীন দীর্ঘদিন যাবৎ গাভীন গরু ও এড়ে গরু মোটাতাজা করণ করে চলেছেন। একদিকে দুধ বিক্রি অন্য দিকে গবর বিক্রির মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে। ছাগল পালনেও এগিয়ে চলেছে সাতক্ষীরার গ্রামীন জনপদের মহিলারা পারুলিয়া আছিয়া খাতুন দুইটি ছাগল হতে বর্তমানে ত্রিশটি ছাগলের মালিক। পুকুরে বিভিন্ন প্রজাতির মিঠা পানির মাছ চাষের গ্রামীণ জনপদ অনেক উচ্চতায় পৌছেছে। সাতক্ষীরার গ্রামে গ্রামে মা বোনরা অর্থনীতির চাকা অতি দ্রুততার সাথে এগিয়ে নিচ্ছে। এভাবে গ্রামীণ জনপদের গ্রামীণ পরিবেশের আদলে হাঁস—মুরগী, গরু ছাগল পালনের ক্ষেত্র বর্তমানের সময়গুলোতে যেভাবে অগ্রসরমান তা অব্যাহত থাকলে গ্রামীন অর্থনীতিতে সুবাতাস বইবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com