এফএনএস: দেশের মৎস্য সম্পদ ও জীব বৈচিত্র্যের সুরক্ষায় ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’র আওতায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ‘বিশেষ কম্বিং অপারেশন—২০২৫’ শেষ হয়েছে। গত শুক্রবার এই অপারেশন শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর আইএসপিআর। তিন বাহিনীর মুখপাত্র এই দফতর জানায়, নৌবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে ‘বিশেষ কম্বিং অপারেশন’ গত ১২ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়। ১২ থেকে ১৯ জানুয়ারি, ২৫ থেকে ৩১ জানুয়ারি, ৯ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি ও ২১ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চার ধাপে ৩০৩টি অভিযানে ১৩২ কোটি ৪৭ লাখ ৬৬ হাজার ১০০ টাকার অবৈধ জাল ও জাটকা জব্দ করা হয়। মৎস্য নিধনের ধ্বংসাত্মক অপতৎপরতা বন্ধের জন্য নৌবাহিনী চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, শরীয়তপুর, বরিশাল, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, ভোলা ও মুন্সিগঞ্জসহ ১৬টি জেলায় বিশেষ কম্বিং অপারেশন চালানো হয়। এ অপারেশনে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ১২টি জাহাজ—ঘাঁটি এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বোট মোতায়েন করা হয়। আইএসপিআর জানায়, অভিযানে কারেন্ট জাল, মশারি জাল, চায়না দুয়ারি জাল, সুতার জাল, বাধা জালসহ সর্বমোট ১ কোটি ৭৬ লাখ ৬৫ হাজার ৮০০ মিটার অবৈধ জাল জব্দ করা হয়। এছাড়াও বেহুন্দি, টং জাল, চায়না রিংসহ সর্বমোট ৫৪২টি বিভিন্ন ধরনের নিষিদ্ধ জাল এবং ১০৯ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। অভিযানে জব্দ করা অবৈধ জালগুলো স্থানীয় প্রশাসন পুড়িয়ে ধ্বংস করে দেন এবং জাটকা মাছগুলো স্থানীয় এতিমখানায় দান করা হয়। পাশাপাশি এ সব ধরনের অবৈধ জাল ব্যবহার বন্ধে এবং বৈধ মৎস্য আহরণে তৎসংলগ্ন এলাকাগুলোতে জনসচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হয়। আইএসপিআর আরও জানায়, বাংলাদেশ নৌবাহিনী ২০২১ সাল থেকে উপকূলীয় জেলাসমূহে বিশেষ কম্বিং অপারেশন পরিচালনা করে আসছে। এছাড়া বর্তমানে জাটকা নিধন বন্ধের জন্য ৯টি জেলায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সাতটি জাহাজ—ঘাঁটি নিয়োজিত রয়েছে।