বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০২:১৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
ইছামতির ভাঙ্গনে মৃত্যুমুখে দেবহাটার রূপসী ম্যানগ্রোভ পারুলিয়া বড়শান্তা সড়ক নির্মাণে অনিয়মের ছোয়া \ কর্তৃপক্ষ কি বলবেন? ঠিকাদারের গাফিলতিতে অতিষ্ট এলাকাবাসী ইসলামী ব্যাংকের উদ্যোগে পল্লী উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পুকুরে গোসল করতে নেমে যুবকের মৃত্যু নিয়ন্ত্রন হারিয়ে যাত্রীবাহি বাস ধান ক্ষেতে \ পথচারী নারীর মৃত্যু একটি জাতিকে উন্নত শিখরে পৌঁছে হলে শিক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত করতে হবে- ডাঃ আব্দুল মজিদ পাইকগাছায় পলিথিন ও প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে বনজীবীদের দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক কর্মশালা আশাশুনি প্লাস্টিক ও পলিথিন দুষণ প্রতিরোধে গণশুনানি আশাশুনি মার্কেট লিংকেজ ও ভ্যালু চেইন নেটওয়ার্ক গঠন

রমজানে পাকা কলার ঝাজে অতিষ্ঠ ক্রেতা, সিন্ডিকেট চক্র আর অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজির অভিযোগ

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় রবিবার, ২ মার্চ, ২০২৫

দৃষ্টিপাত রিপোর্ট \ রমজানকে সামনে রেখে ভোজ্যতেলের সংকটের পর এবার পাকা কলার সংকট এবং মূল্যবৃদ্ধির ঝাজ ছড়িয়ে পড়েছে। সাতক্ষীরা শহর সহ মফস্বল এলাকাগুলোতে বর্তমান সময়ে কলা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০—৮০ টাকায়। চাপা সবরি কলাই বাজার দৃশ্যত: দখল করে আছে। সারা বছর চাপা এবং সাগর কলার উপস্থিতি এবং মূল্য সহনীয় পর্যায়ে থাকলে বর্তমান বাজার মূল্য অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে। সাধারণত চাপা সবরি (পাকা) কলা কেজি প্রতি ২০/২৫ টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে একই ভাবে সাগর কলা ২০/৩০ টাকার মধ্যে থাকলেও এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট কলার কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে মূল্য বৃদ্ধির ক্ষেত্র বিস্তৃত করছে বলে ক্রেতা সাধারণের অভিযোগ। দৃষ্টিপাতের অনুসন্ধানে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির বিষয়টি এভাবে দেখা মিলেছে যশোর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ এলাকা হতে ট্রাক কি ট্রাক ভর্তি কলা সাতক্ষীরার ব্যবসায়ীরা পাইকারীভাবে আনলেও গোডাউন গুলোতে রেখেছে কোন কোন ব্যবসায়ী, পূর্বেকার সময়গুলোতে হাটবাজারে যেভাবে পাকা কলার উপস্থিতি দেখা যেতো রোজা শুরুর দুই তিন দিন পূর্ব হতে সরবরাহ কমে আসে। ২৫/৩০ টাকার চাপা ও সাগর কলা ৭০/৮০ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হতে থাকে। সাতক্ষীরা শহরের পাকাপুল, হাটের মোড়, সার্কিট হাউজ চত্বর, খুলনা রোড, বড় বাজার, বৌ বাজার সহ বাজারগুলোতে পূর্বের অপেক্ষায় পাকা কলার উপস্থিতি কম। পাইকার কলা ব্যবসায়ীরা মূল্য এবং চাহিদার সাথে সঙ্গতি রেখে কলা বাজারজাত করছে। তথ্যানুসন্ধানে আরও জানা গেছে সচরাচর কলা পাকানোর কৃত্রিম পদ্ধতিগুলো বর্তমান সময়ে কম ব্যবহার করছে কারণ মওজুদ করা কলা দেরীতে পাকলে সুবিধা। রোজার দিন গুলোতে সিহরী ও ইফতারের সময়ে কলার চাহিদা বেশী থাকে। খেজুর, ছোলা, খিরা সহ অপরাপর রোজা ও ইফতারী উপকরণের মূল্য সহনীয়। কলার বাজার মনিটরিং এবং মওজুদকারী ও সিন্ডিকেট চক্রের বিষয়ে তদন্ত জরুরী। কলা বাজার উর্ধমুখি করনের ক্ষেত্রে যদি সিন্ডিকেট বা মওজুদ চক্রের কারসাজি থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করতে হবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com