বিশেষ প্রতিনিধি \ সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা পাক রওজা শরীফ প্রাঙ্গণে দেশের সর্ববৃহৎ ইফতার মাহফিলে মানবজাতির কল্যাণ, সমৃদ্ধি এবং ইহকালে শান্তি ও পরকালের মাগফিরাত এবং বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ-শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে দোয়া করা হয়েছে। পীর-এ কামেল বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ মোজাদ্দেদ, অবিভক্ত বাংলা ও আসামের শিক্ষা বিভাগের সহকারী পরিচালক, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও শিক্ষা সংস্কারক, প্রখ্যত সাহিত্যিক, সমাজ সেবক, আত্মাধিক সাধক, সমাজ সংস্কারক, জ্ঞান তাপস, মুসলিম রেনেঁসার অগ্রদুত, মুক্তবুদ্ধি ও অসা¤প্রদায়িক চিন্তা-চেতনার অধিকারী, মনোচিকিৎসক, ঐতিহাসিক, দার্শনিক সুলতানুল আউলিয়া কুতুবুল আকতাব গওছে জামান আরেফ বিলাহ হজরত শাহ্ ছুফী আলহাজ্জ খানবাহাদুর আহ্ছানউলা (রঃ) এঁর হাতে গড়া ‘‘স্রষ্টার এবাদত ও সৃষ্টের সেবা” ব্রত নিয়ে চলা নলতা কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় মাসব্যাপী ইফতার মাহফিলের গতকাল সোমবার ৯ রমজানের ইফতার মাহফিলে ৫ সহ¯্রধিক রোজাদারদের নিয়ে পরম করুণাময়, দয়ালু দাতা, মহান আলাহর দরবারে হাত তুলে মোনাজাত পরিচালনা করেন, নলতা শরীফ শাহী জামে মসজিদের খতিব মাওঃ আবু সাইদ। উপস্থিত ছিলেন, নলতা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্জ মোঃ আনিছুজ্জামান খোকন, হাফেজ মোঃ হাবিবুর রহমান, শিক্ষক আলহাজ্জ মোঃ সাইদুর রহমান, নলতা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল হক, আলহাজ্জ গোলাম মুকতাদির, আলহাজ্জ কাজী জিলানী, সরকারি, বেসরকারি কর্মকর্তা, সংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। মিশনের কর্মকর্তা আলহাজ্জ শিক্ষক আবুল ফজল, খায়রুল হাসান ও হিসাব রক্ষক মোঃ এবাদুল হক জানান, মিশনের রন্ধনশালায় নিজস্ব কারিগরদ্বারা কিছু ইফতারির মেনু প্রস্তত করে ও বাইরে থেকে ক্রয় করে প্রতিদিন মোট ৭ প্রকারের ইফতার সামগ্রী প্রদান করা হচ্ছে। ইফতার সামগ্রীর মধ্যে আছে ডিম, ছোলা, চিড়া, পাকা কলা, খেঁজুর, সুজির ফিন্নি ও সিঙ্গাড়া। মিশন কর্মকর্তাদের নিবিড় তত্ত¡াবধানে এবং কর্মচারী ও অসংখ্য স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দের অক্লান্ত পরিশ্রমে বিকাল ৩টার পর থেকে ইফতার পরিবেশনের তোড়জোড় শুরু হয়ে যায়। বর্তমানে এক এক দিনের ইফতার বাবদ আড়াই লক্ষ টাকার উর্ধ্বে ব্যয় হচ্ছে। ১ম রমজান থেকে শুরু হওয়া ইফতার মাহফিলে কেউ এককভাবে দিচ্ছেন আবার কোনোদিন কয়েকজন মিলেও দিচ্ছেন বলেও তারা জানান। রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে সুষ্ঠু ও ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্য পরিবেশে রমজানের প্রথম থেকে শেষ দিন পর্যন্ত অব্যাহত ইফতার মাহফিলে যাতে রোজাদাররা ইফতার করতে পারেন সেজন্য মিশন কর্তৃপক্ষ লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয়ে চারদিকে বাঁশের রেলিং ও মাথার উপরে টিনের ছাউনি দ্বারা মনোরম পরিবেশের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও রোজাদারদের সুষ্ঠভাবে ইফতারী করতে সারিবদ্ধভাবে বসার ব্যবস্থা, ইফতারীর প্লেট ও গ্লাস দেওয়ার জন্য প্রতিদিন মিশন কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কয়েকশত স্বেচাসেবক নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এদিকে ইফতার করতে আসা রোজাদারদের বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল, ভ্যানসহ অন্যান্য যানবাহন ও জুতা যাতে চুরি না হয় সেজন্য মিশন কর্তৃপক্ষ নিরাপদে রাখার ব্যবস্থা করেছে। এভাবেই রমজানের শেষ পর্যন্ত ইফতার মাহফিল অব্যাহত থাকবে বলে মিশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।