এফএনএস: শরীয়তপুরের কীর্তিনাশার শাখা নদী থেকে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন থাকায় ডাকাতির ঘটনায় গণপিটুনিতে ওই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। গতকাল সোমবার দুপুরে সদর উপজেলার চিতলিয়া ইউনিয়নের কাশিপুর এলাকার একটি শাখা নদী থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়, পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে একদল ডাকাত মাদারীপুরের রাজারচর এলাকায় বাল্কহেডে ডাকাতির চেষ্টা করে। পরে তাদের ধাওয়া দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ সময় ডাকাতরা পালিয়ে শরীয়তপুরের তেঁতুলিয়া এলাকায় আসলে স্থানীয়রা বাল্কহেড দিয়ে তাদের স্পিডবোটের গতিপথ রোধ করে। এ সময় ডাকাতরা হাতবোমা ও গুলি ছুড়লে আহত হন বেশ কয়েকজন। পরে ডাকাতরা স্পিডবোট ফেলে পালানোর সময় ৭ জনকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয় ক্ষুব্ধ জনতা। পরে ডাকাতদের গুরুতর আহত অবস্থায় সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের মধ্যে দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। পরে আহত বাকি ৫ সদস্যকে গুরুতর আহত অবস্থান উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় চিকিৎসক। এদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও এক ডাকাতের মৃত্যু হয়। এছাড়া গত রোববার বিকেলে শরীয়তপুর জেলা লাগোয়া ও মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের বিদ্যাবাগিস এলাকার কীর্তিনাশা নদীতে আরও একটি অজ্ঞাতনামা লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। গতকাল সোমবার সকালে শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিতলিয়া ইউনিয়নের কাশিপুর এলাকায় এক ব্যক্তির লাশ ভাসতে গেলে স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। পালং থানা সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুরে ডাকাতির চেষ্টা ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় পালং মডেল থানায় দুটি পৃথক মামলা হয়েছে। শনিবার রাতে পালং থানার এসআই আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে মামলাগুলো করেন। এতে গণপিটুনিতে আহত পাঁচ ডাকাতসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৮—১০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিরা হলেন— মুন্সিগঞ্জের রিপন (৪০), শরীয়তপুরের আনোয়ার দেওয়ান (৫০), নড়িয়ার সাঈদ (২৫), মাদারীপুরের সজীব (৩০) ও শরীয়তপুরের রাকিব গাজী (৩০)। তাদের মধ্যে চারজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, উদ্ধার হওয়া লাশটির শরীরে আঘাত ও জখমের চিহ্ন রয়েছে। আমরা ধারণা করছি গণপিটুনি শেষে ওই ব্যক্তিকে নদীকে ফেলে দেওয়া হয়। লাশটি উদ্ধার শেষে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।