৫ আগস্টের পর আর বাংলাদেশে আসা হয়নি সাকিব আল হাসানের। পট পরিবর্তনের পর সাকিবের গ্লেমারও যেন কমে গেছে, কমেছে খ্যাতি, চাহিদাও। দলের বাইরে রয়েছেন, একরকম বলা যায় আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারও শেষ। সেই সাথে সাকিবের চার মাসের পারিশ্রমিকও আটকে রয়েছে। বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তির আওতায় থাকলেও ২০২৪ সালের শেষ চার মাসের বেতনভাতা পাননি সাবেক এই অধিনায়ক। অবশ্য এর কারণও আছে। তা হলো— সাকিবের ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করা হয়েছে। ক্রিকেট বিষয়ক সংবাদমাধ্যম ক্রিকবাজ জানিয়েছে, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসের টাকা পাননি সাকিব। অবশ্য সাকিব পাননি না বলে বলা যেতে পারে, সাকিবকে এই ৪ মাসের বেতন দেওয়া সম্ভব হয়নি। কারণ তার একাউন্ট জব্দ করা হয়েছে। গত ১১ নভেম্বর বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বিএফআইইউ সাকিব ও তার স্ত্রীর সব ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করার নির্দেশ দেয়। এর আগে ২ অক্টোবর পাঠানো এক চিঠিতে বিএফআইইউ জানায়, পরবর্তী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে ব্যাংক ও ব্যাংক বহিভূর্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে সাকিব ও শিশিরের নাম এবং তাদের প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা সঞ্চয়ী হিসাব, চলতি হিসাব, ফিক্সড ডিপোজিট ও ডিপোজিট প্লাস স্কিম একাউন্টের তথ্য দিতে হবে। এরপর হয় তদন্ত, সেই তদন্ত শেষে সরকারের নির্দেশে তার সব ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করা হয়। অর্থাৎ, সাকিব আর এসব একাউন্ট ব্যবহার করতে পারছেন না। সে কারণেই সাকিবকে বিসিবি থেকে প্রাপ্য তার বেতনভাতা দেওয়া যায়নি। বিসিবির কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ক্রিকবাজ উল্লেখ করেছে, ‘এটা সত্যি যে সাকিব সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বরের বেতন পায়নি। এর কারণ ওর একাউন্ট জব্দ করা হয়েছে।’ সাকিব অবশ্য ৫ আগস্টের পর ম্যাচ খেলেছেন মাত্র দুটি। ভারতে সেই দুটি টেস্ট খেলার সময়ই জানান তিনি টেস্ট ও টি—২০ থেকে অবসর নিচ্ছেন। ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিদায়ী টেস্ট খেলতে চাইলেও দেশে আসতে পারেননি। এরপর আফগানিস্তান সিরিজ বা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলার সুযোগ থাকলেও আর ফেরা হয়নি ওয়ানডে দলেও। তা সত্ত্বেও চুক্তি অনুযায়ী সাকিব পারিশ্রমিক পাওনা। বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদিন ফাহিম বলেছেন, ‘চুক্তি অনুযায়ী সে তার বেতন পাবে। খেলুক বা না খেলুক, যে চুক্তি আছে সে অনুযায়ী প্রতিশ্রম্নতি পূরণের চেষ্টা করব আমরা।’ তবে সাকিবের ব্যাংক একাউন্ট জব্দ থাকায় তিনি কীভাবে বিসিবির কাছে পাওনা ৪ মাসের বেতন নেবেন, তা—ই এখন প্রশ্ন। সব মিলে ৪৮ লাখ টাকা এখনও বকেয়া রয়েছে তার। এ বছর সাকিবকে ছাড়াই বিসিবি সাজাচ্ছে কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা।