বিশেষ প্রতিনিধি \ শ্যামনগর উপজেলার নূরনগর লক্ষ¥ীনাথপুর গ্রামের সন্ত্রাসী হামলার মামলার আসামীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টায় লক্ষ¥ীনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্নে এলাকাবাসী এবং ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ হতে এলাকার শত শত নারী—পুরুষদের অংশগ্রহণ উক্ত মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তব্যকালে ডাঃ নজরুল ইসলাম, শেখ রেজাউল করিম, নিমাই চন্দ্র মন্ডল ও খাদিজা শামীম এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে প্রশাসনের কাছে মামলার আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবী তুলে বলেন আমরা অত্র অঞ্চলে হিন্দু—মুসলিম পাশাপাশি দীর্ঘকাল বসবাস করে আসছি, নিম্নলিখিত মামলার আসামীগণ বিগত স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে এলাকার মানুষকে নানাভাবে হয়রানির স্বীকার, চাঁদাবাজি করে এসেছে। বর্তমান সময়ে তাদের এই কর্মকান্ড চলমান আছে বিধায় তাদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তারপূর্বক বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন। উক্ত মামলার আসামী সন্ত্রাসীদল এলাকার মানুষকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে, আমরা তাদের হাত থেকে পরিত্রাণ পেতে চাই। উল্লেখ্য শ্যামনগর থানায় মামলা সূত্রে জানাযায়, মামলা নং—০১ তাং—০২/০৩/২০২৫। গত ইং ০১/০৩/২৫ সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে রমজাননগর গ্রামের মৃত শেখ আদম আলীর পুত্র শেখ মুজিবর রহমান (৬০), এর ওপর অতর্কিত হামলা করে জখম করে আসামী মীর্জাপুর গ্রামের জহুর আলী গাজীর পুত্র হেলালউদ্দীন (৩৫), লক্ষীনাথপুর গ্রামের মৃত এবাদুল গাজীর পুত্র আব্দুস সালাম (৪০), হারিনাগাড়ী মৃত সোহরাব আলী গাজীর পুত্র জাকির হোসেন (ছোট) (৪৫) ও জালালউদ্দীন গাজী (৪৮), আনোয়ার মোড়লের পুত্র মাহবুবুর রহমান (২৫), আজিজ খোকনের পুত্র মোহাম্মাদ আলী (২৪), মোস্তফা মিস্ত্রীর পুত্র পিয়ার আলী মিস্ত্রী (৩৯), মির্জাপুরগ্রামের মৃত সোহরাব আলী গাজীর পুত্র জহুর আলী গাজী (৫৫) সহ অজ্ঞাতনামা ৫/৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় এই মর্মে মামলা করে ভুক্তভোগী শেখ মুজিবুর রহমানের পুত্র রেজাউল করিম। এ বিষয়ে মামলার বাদী রেজাউল করিমের সাথে কথা বললে তিনি দৈনিক দৃষ্টিপাতকে জানান, উপরোক্ত আসামীগণ সহ অজ্ঞাতনামা ৫/৭ জন আমার পিতার গতিরোধ করে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করতে থাকে। তখন আমার পিতা প্রতিবাদ করলে পরস্পর কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে আসামীরা আমার পিতাকে যে যার মত মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে।আমার পিতা মাটিতে পড়ে যায়। এমতবস্থায় আমি এলাকাবাসীর সহায়তায় আমার পিতা সহ জখমীদের চিকিৎসার জন্য দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করি। কিন্তু আমার পিতার অবস্থা খারাপ হওয়ায় উক্ত হাসপাতাল কর্তব্যরত ডাক্তার পিতাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সে মোতাবেক পিতাকে চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি। বর্তমানে আমার পিতার অবস্থা আশংখা জনক। তিনি সেখানে চিকিৎসারত আছে।