সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫, ১২:৪৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
কঠিন হয়ে পড়ছে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখা কমে গেছে কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন মাগুরার শিশুটিকে দেখলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, বললেন ‘শাস্তি থেকে ছাড় নয়’ মাগুরায় ‘শিশু ধর্ষকের’ ফাঁসির দাবিতে আদালত চত্বর ঘেরাও ছাত্র—জনতার সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার নির্মাণ ও মেঘনা নদীরক্ষা প্রকল্প আটকে থাকায় প্রধান উপদেষ্টার বিস্ময় সংশোধন হচ্ছে আইন ধর্ষণ মামলার বিচার ৯০ দিনে শেষ করতে হবে: আইন উপদেষ্টা জামায়াত ক্ষমতায় গেলে সবার আগে শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কার করবে: ডা. শফিকুর রহমান মাগুরায় শিশু ধর্ষণ: চার আসামির ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন রিজার্ভ এখন ২১.৪০ বিলিয়ন ডলার ‘স্টারলিংক শহর বা প্রান্তিক অঞ্চলে হাইস্পিড ইন্টারনেটের নিশ্চয়তা দেবে’

কলারোয়ার ফারহানা সহকারী জজ হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫

কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি \ সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার সন্তান ফারহানা নাজনীন সহকারী জজ হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন । তিনি বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন কর্তৃক গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৭তম বিজেএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফলে সহকারী জজ হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত হন। ফারহানা নাজনীন কলারোয়া উপজেলার ২ নং জালালাবাদ ইউনিয়নের সিংহলাল গ্রামের মাস্টার জাহাঙ্গীর হোসেনের বড় কন্যা। তার পিতা একজন স্কুল শিক্ষক । পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সিংহলাল প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে ৫ম শ্রেনি পড়াশোনা শেষ করে ভর্তি হন তার পিতার কর্মস্থল একই ইউনিয়নের বাঁটরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। ২০১২ সালে এসএসসি পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়ে ভর্তি হন একই উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের ধানদিয়া চৌরাস্তা মোড়ে বেগম খালেদা জিয়া কলেজে। ২০১৪ সালে এইচএসএসিতে জিপিএ—৫ পেয়ে এডমিশন নেন প্রাচ্যের অক্সফোর্ড নামে খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ভর্তি পরীক্ষাতেও অসামান্য ফলাফল করে ভবিষ্যতে বিচারক হওয়ার প্রত্যয়ে ভর্তি হন আইন বিভাগে। ২০১৯ সালে এলএলবি ও ২০২০ সালে এলএলএম সম্পন্ন করেন ফারহানা। এরপর ১৭তম জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন পরীক্ষায় সহকারী জজ হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন তিনি। এ ব্যাপারে ফারহানার চাচা ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার জাকির হোসেন বলেন, তার ভাতিজা ফারহানা নাজনীন অত্যন্ত মেধাবী একটা মেয়ে। যেন পড়ালেখা ছাড়া কিছুই বোঝে না। তার আগ্রহ ও উদ্দীপনা দেখে সকলেই ভাবতো সে কোন একসময় বড় কোন অফিসার হবে। সেটাই হলো। ফারহানা তার মানসিক চাপ এবং মোটিভেশন বজায় রাখার বিষয়ে বলেন, বিজেএস পরীক্ষায় এ সাফল্যে তার বাবা সবসময় তাকে সাহস দিয়েছেন এবং পরিবারের সামগ্রিক সমর্থন ছিল অপরিসীম। যেহেতু বিচারকের লাইনে এলাম, তাই সব সময় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করব। উল্লেখ্য যে, তার স্বামী আরিফ হোসেনও সহকারী জজ হিসেবে বরগুনা জেলা আদালতে কর্মরত আছেন৷

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com