ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি \ ডুমুরিয়ায় হরি নদী থেকে জিয়াউর রহমান জিয়া (৪৫) নামের এক প্রবাসী ব্যক্তির ক্ষত—বিক্ষত ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার ডুমুরিয়া—অভয়নগর সীমান্তের হরি নদী থেকে ক্ষত বিক্ষত লাশ উদ্ধার করে ডুমুরিয়া থানা পুলিশ। নিহত জিয়াউর রহমান জিয়া ডুমুরিয়া উপজেলার চেঁচুড়ি গ্রামের খবির উদ্দিন মোড়লের ছেলে। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায, উপজেলার চেঁচুড়ি গ্রামের জিয়াউর রহমান জিয়া (৪৫) একজন ইরাক প্রবাসী। এক বছর আগে তিনি বাড়িতে আসেন। গত দুই মাস ধরে চাচাত ভাই লিটন মোড়লের সাথে মাছের ব্যবসা শুরু করেন। নিহত জিয়াউর রহমানের ছেলে রাতুল জানায়, চেঁচুড়ি বকুলতলা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যায় ইফতার করে বাড়ি এসে ভাত খায়। এরপর একজনের ফোন পেয়ে আবার আমার আব্বু বেরিয়ে যান। তারপর আর ফিরে আসেননি।একাধিক সূত্র জানায় রাত ১১টা পর্যন্ত জিয়া বকুলতলা এলাকায় ঘোরাফেরা করতে দেখে। লিটন মোড়ল জানান, শুক্রবার বিকেলে আড়তে মাছের টাকা দিয়ে চলে আসি। তার পর থেকে আর দেখা হয়নি। সকালে নিহত জিয়ার ছোট ভাই রবিউল এসে আমাকে বলে ভাইকে পাচ্ছিনা।পরে জানা যায় নদীতে তার ভাইয়ের লাশ ভাসছে।সকালে নদীতে জিয়াউর রহমানের লাশ ভাসতে দেখে শত শত নারী—পুরুষ ভিড় জমায়। নদীর পাড়ে লাশ উঠানোর পর দেখা যায় মুখো—মন্ডল এবং মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ক্ষত বিক্ষত চিহৃ। খরব পেয়ে খুলনা জেলা পুলিশ সুপার টিএম মোশাররফ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ খায়রুল আনাম (বি সার্কেল), ডুমুরিয়া থানা ওসি মাসুদ রানা,রঘুনাথপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর শাহজাহান আলীসহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন। পুলিশ জানায়, চাইনিজকুড়াল দিয়ে জিযাউর রহমান কে কুপিয়ে হত্যা করা হতে পারে।দুটি বিষয়কে কেন্দ্র করে হত্যার মোটিভ উদঘাটনের চেষ্টা করা হচ্ছে। গতকাল রাতে একজন অপরিচিত লোক জিয়ার সাথে চলাফেরা করছিল। পেছনের রহস্য উদঘাটন করা হচ্ছে। অপরাধীদের ধরার জন্য পুলিশী তৎপর রয়েছেন। এ প্রসংগে থানা ওসি মাসুদ রানা বলেন, লাশটি ময়না তদন্তের জন্য সুরোতহাল প্রতিবেদন পূর্বক খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে জিজ্ঞাসা বাদের জন্য নিহতের সহদর রবিউল ইসলামকে আটক করা হয়েছে।