খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ‘শহিদ মীর মুগ্ধ তোরণ’ উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা রবিবার দুপুরে বিশ^বিদ্যালয়ের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন। অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা বলেন, মুগ্ধ ইতিহাস রচনা করে গিয়েছে। মুগ্ধকে নিয়ে বলতে গেলে দুঃখ লাগে ঠিকই কিন্তু তাঁকে নিয়ে কথা বলতে গেলে গর্বে মাথা উঁচু হয়ে যায়। মুগ্ধকে আমরা হারিয়েছি ঠিকই, তবে সে আমাদের নতুন বাংলাদেশ দিয়ে গিয়েছে। সে জীবনের ঝঁুকি নিয়ে আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের তৃষ্ণা নিবারণের পানি যুগিয়েছে। আগে ভাবা হতো নতুন প্রজন্ম নিজেদের ছাড়া কিছু বোঝে না, তাঁরা দেশ ও রাজনীতি বিমুখ। কিন্তু সেই প্রজন্মের সন্তানরাও তাদের দেশপ্রেমের অবস্থান প্রমাণ করে দিলো। এখন আমাদের দায়িত্ব ও দায় অনেক বেশি। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ছাত্র—জনতার খুনীদের বিচার এই মাটিতেই হতে হবে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোঃ রেজাউল করিম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোঃ আব্দুল মজিদ, খুলনা কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোঃ নাজমুল আহসান, খুলনা বিশ^বিদ্যালয়ের উপ—উপাচার্য ড. মোঃ হারুনর রশীদ খান, কোষাধ্যক্ষ ড. মোঃ নূরুন্নবী ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ। অনুষ্ঠানে শহিদ মীর মুগ্ধের পিতা মীর মোস্তাফিজুর রহমান ও বিশ^বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক ও দুই জন শিক্ষার্থী বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে শুরুতে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শহিদদের স্মরণে একমিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এর আগে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিশ^বিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ‘শহিদ মীর মুগ্ধ তোরণ’ এর উদ্বোধন করেন।—তথ্য বিবরণী