এফএনএস: আট বছর বয়সি শিশু ধর্ষণের অভিযোগে ধর্ষকের প্রকাশ্যে ফাঁসির দাবিতে আদালত চত্বর ঘেরাও করেছে ছাত্র—জনতা। গতকাল রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তারা আদালত চত্বরে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনী তাদের বাধা দেয় ও শান্ত করার চেষ্টা চালায়। সদর থানার ওসি আয়ুব আলী বলেন, এক পর্যায়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। মগুরা সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী বায়োজিদ হোসেন বলেন, এই শিশু ধর্ষণের ঘটনায় তারা বিক্ষুব্ধ। যে কারণে কলেজের শিক্ষার্থীরা ধর্ষকের প্রকাশ্যে ফাঁসির দাবিতে আদালত চত্বরে প্রতিবাদ জানাতে এসেছেন। তাদের সঙ্গে সাধারণ জনগণও যোগ দিয়েছেন। তারা ধর্ষকের প্রকাশ্যে ফাঁসির দাবি জানান। মাগুরা শহরতলীর নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয় বলে পরিবারের অভিযোগ। শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে নেওয়া হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এরপর সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে গত বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (পিআইসিইউ) এনে ভর্তি করা হয় এবং পরে গত শুক্রবার রাতে তাকে ভেন্টিলেশনে নেওয়া হয়। গত শনিবার ঢাকা মেডিকেলে শিশুটির অবস্থা ‘সঙ্কটাপন্ন’ জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। এরপর তার চিকিৎসায় মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হলেও সন্ধ্যায় তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল—সিএমএইচে আনা হয়। গতকাল রোববার সকালে শিশুটির চিকিৎসার খোঁজখবর নিতে সিএমএইচে যান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সেখানে তিনি শিশুটির সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে হাসপাতাল কতৃর্পক্ষকে নির্দেশ দেন। হাসপাতালে পরিদর্শন শেষে সেখানে দাঁড়িয়ে নারী হয়রানি ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোর অবস্থান নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। অন্যদিকে, ধর্ষণের ঘটনার তিন দিন পর শিশুর মা বাদী হয়ে মাগুরা সদর থানায় চারজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলা করেছেন গত শনিবার। মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিরাজুল ইসলাম জানান, এ মামলায় মামলার শিশুটির ভগ্নিপতি সজিব হোসেন (১৮) ও বোনের শ^শুর হিটু মিয়া (৪২), সজিব শেখের ভাই রাতুল শেখ (১৭) এবং তাদের মা জাবেদা বেগমকে (৪০) আসামি করা হয়েছে। চারজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলে জানান জেলা পুলিশের কর্মকর্তা মিরাজুল ইসলাম। মেয়েটির মা সাংবাদিকদের বলেন, তার মেয়ের এখনও জ্ঞান ফেরেনি।