এফএনএস স্পোর্টস: ইতালির তুরিন শহরে অনুষ্ঠিত শীতকালীন স্পেশাল অলিম্পিকস গেমসে ফ্লোরবল ইভেন্টে সোনা জিতেছে বাংলাদেশ। গতবারের মতো এবারও বাংলাদেশের মেয়েরা এই বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, যা দেশের ক্রীড়াঙ্গনে এক নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। শনিবার, ফাইনালে বাংলাদেশ ৪—২ গোলে ইউক্রেনকে পরাজিত করে সোনার পদক লাভ করেছে।
গতকাল সেমিফাইনালে বাংলাদেশের মেয়েরা ত্রিনিদাদ ও টোবাগোকে হারিয়ে ফাইনালে স্থান করে নেয়, অন্যদিকে ইউক্রেন ভারতকে পরাজিত করে ফাইনালে ওঠে। তবে আজ ফাইনালে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের দাপট ছিল অসাধারণ। পুরো ম্যাচেই ছিল বাংলাদেশ দলের আধিপত্য, আর সেই আধিপত্যের মাধ্যমে তারা ৪—২ গোলে ইউক্রেনকে পরাজিত করে শিরোপা নিশ্চিত করে।
বাংলাদেশের গোলদাতারা ছিলেন ময়মনসিংহের নান্দাইলের অধিনায়ক স্বর্ণা আক্তার, মাদারীপুরের ফাতেমা আক্তার, পাবনার ফাবিয়া খাতুন এবং তামাল্লিন। প্রত্যেকেই একটি করে গোল করেন, আর তাদের এই সাফল্যে বাংলাদেশের পুরো দল একত্রে উজ্জীবিত হয়েছে।
স্পেশাল অলিম্পিকস গেমস মূলত বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীদের জন্য আয়োজিত একটি আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, যা মূলত শীতকালীন দেশগুলোর জন্য। এবারের গেমসে ১০২টি দেশের ৩,০০০ এরও বেশি খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করেছেন। বিভিন্ন শীতকালীন খেলা ছাড়াও ফ্লোরবল একটি অন্যতম খেলা হিসেবে অনুষ্ঠিত হয়, যা হকির মতো হলেও তুষারপাতহীন দেশগুলোর জন্য বিশেষভাবে আয়োজিত।
বাংলাদেশের দলনেতা শেখ আবুল হাসেম এবং উপদলনেতা কামরুন নাহার ডানা, যাঁরা স্বামী—স্ত্রী, দেশের জাতীয় ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় এবং জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত অ্যাথলেট, তাঁদের নেতৃত্বে এই সাফল্য অর্জিত হয়েছে। দলের কোচ এবং কর্মকর্তাদেরও তাদের অবদানের জন্য অভিনন্দন জানানো হয়েছে।
কামরুন নাহার ডানা তুরিন থেকে জানিয়েছেন, ‘‘এই সাফল্য সম্ভব হয়েছে মেয়েদের একান্ত প্রচেষ্টার মাধ্যমে। তাদের আত্মবিশ^াস এবং নিষ্ঠা আমাদের এই গৌরবময় অর্জনে সহায়তা করেছে।’’ তিনি কোচ এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশের ফ্লোরবল দলের সদস্যদের মধ্যে ছিলেন ফাবিয়া খাতুন, তানমুন ইসলাম, তামাল্লিন, তানজিলা খাতুন, ফাতেমা আক্তার, অনিতা খাতুন, স্বর্ণা আক্তার এবং মুক্তা আক্তার।
এই জয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের মেয়েরা আন্তর্জাতিক ক্রীড়াক্ষেত্রে নতুন এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে এবং তাদের একতার শক্তি এবং প্রতিভা ফুটবল মাঠে প্রমাণ করেছে।