বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৩৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
ইছামতির ভাঙ্গনে মৃত্যুমুখে দেবহাটার রূপসী ম্যানগ্রোভ পারুলিয়া বড়শান্তা সড়ক নির্মাণে অনিয়মের ছোয়া \ কর্তৃপক্ষ কি বলবেন? ঠিকাদারের গাফিলতিতে অতিষ্ট এলাকাবাসী ইসলামী ব্যাংকের উদ্যোগে পল্লী উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পুকুরে গোসল করতে নেমে যুবকের মৃত্যু নিয়ন্ত্রন হারিয়ে যাত্রীবাহি বাস ধান ক্ষেতে \ পথচারী নারীর মৃত্যু একটি জাতিকে উন্নত শিখরে পৌঁছে হলে শিক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত করতে হবে- ডাঃ আব্দুল মজিদ পাইকগাছায় পলিথিন ও প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে বনজীবীদের দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক কর্মশালা আশাশুনি প্লাস্টিক ও পলিথিন দুষণ প্রতিরোধে গণশুনানি আশাশুনি মার্কেট লিংকেজ ও ভ্যালু চেইন নেটওয়ার্ক গঠন

শিশুকে ধর্ষণের দায়ে গৃহশিক্ষকের মৃত্যুদণ্ড

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ, ২০২৫

এফএনএস: চার বছর আগে রাজধানীর খিলগাঁও থানাধীন এলাকায় বনশ্রীতে সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের দায়ে গৃহশিক্ষক জাহিদুল ইসলামের (৩০) মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন ট্রাইব্যুনাল। গতকাল বুধবার দুপুরে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল—৩ এর বিচারক মোছাম্মৎ রোকশানা বেগম হেপীর আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। পাশাপাশি তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এর অর্থ অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রমে কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জাহিদুল ইসলাম বরগুনা জেলা সদরের পরীখাল গ্রামের মো. ফজলুল হকের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আসামিকে কারাগারে থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তার উপস্থিততে রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে আবারও তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. সাজ্জাদ হোসেন (সবুজ) এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি এই রায়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করে বলেন, ধর্ষকের কোনও ছাড় নেই। সব ধর্ষকের আরও কঠিন সাজা হওয়া উচিত। যেন কেউ আর ধর্ষণ করার সাহসও না পায়। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী ইমরান হোসেন রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে উচ্চতা আদালতে যাওয়ার কথা জানান। এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে গেলে আসামি খালাস পাবেন বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৩ মার্চ ভুক্তভোগী শিশুটির বাসায় পড়াতে আসেন গৃহশিক্ষক জাহিদুল ইসলাম। ওইদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভুক্তভোগী শিশুর বাবা—মা বাসা সংলগ্ন গ্যারেজে কাজ করছিল। এসময় হঠাৎ গৃহশিক্ষক জাহিদুলকে তড়িঘড়ি করে বের হয়ে যেতে দেখেন। পরে শিশুটির কান্নার আওয়াজ শুনে তারা ঘরে যান। পরে শিশুটি জানায়, তার শিক্ষক তাকে ধর্ষণ করেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুর বাবা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। ২০২১ সালের ২৪ জুলাই মামলাটি তদন্ত কর্মকর্তা উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের পুলিশ পরিদর্শক মোসা. রাশিদা জাহান রুনা তালুকদার তদন্ত করে আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। পরের বছরের ২০ জানুয়ারি আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com