এফএনএস: দেশে ৫২টি পত্রিকা মানুষ কিনে পড়ে, আছে আড়াই হাজারের মতো মন্তব্য করে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম আব্দুল্লাহ বলেছেন, ‘গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের পর্যবেক্ষণ হচ্ছে সারাদেশে মাত্র ৫২টি পত্রিকা নিয়মিত প্রকাশিত হয় এবং পাঠক সেগুলো কিনে পড়ে। অথচ দেশে পত্রিকা রয়েছে প্রায় আড়াই হাজারের মতো। বাকি পত্রিকা বন্ধের সুপারিশ করেছে কমিশন। যেসব সুপারিশ দিয়েছে তার ৫০ শতাংশও যদি বাস্তবায়িত হয় তাহলে দেশের সংবাদমাধ্যম জগতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে।’ গতকাল রোববার দুপুরে যশোর সার্কিট হাউজ অডিটোরিয়ামে খুলনা বিভাগের অসুস্থ এবং অসচ্ছল সাংবাদিকদের অনুদানের চেক ও সাংবাদিক সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। যশোরের জেলা প্রশাসক মো: আজাহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন যশোরের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো: রেজাউল করিম, যশোর প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন ও বিএফইউজের সহকারী মহাসচিব এহতেশামুল হক শাওন। এ সময় অনুষ্ঠানে খুলনা বিভাগের ৭৪ জন সাংবাদিকের সন্তানের শিক্ষাবৃত্তি ও ৫৩ সাংবাদিককে অনুদানের চেক তুলে দেয়া হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে এম আব্দুল্লাহ আরো বলেন, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবগুলোর মধ্যে যেগুলো এখনই বাস্তবায়ন করা সম্ভব সেগুলো করা হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। তবে কিছু প্রস্তাব আদৌ বাস্তবায়নযোগ্য কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন তিনি। তিনি বলেন, এ সংক্রান্ত প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন হলে অন্তত দু’হাজার পত্রিকা বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ এই ৫২টি পত্রিকা ছাড়া বাকি পত্রিকাগুলোকে সরকারি বিজ্ঞাপন দেয়ার সুযোগ থাকবে না। গণমাধ্যমকর্মীদের সতর্ক করে প্রধান অতিথি বলেন, ‘সাংবাদিকরা যদি নিজেদের আত্মসম্মান ও আত্মমর্যাদার দিকটি এখনো উপলব্ধি করতে না পারি, তাহলে আগামী দিনগুলোতে আরো কঠিন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। সাংবাদিকতার যে স্বাধীনতা আমরা চাই, জুলাই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে সেই স্বাধীনতা আমরা পেয়েছি। কেউ আজ সাংবাদিকদের ওপর খবরদারী করে না, ডিসি ধমকায় না, র্যাব থেকে ফোন আসে না। এই সুযোগে যদি আমরা দায়িত্বজ্ঞানহীন, কাণ্ডজ্ঞান হারিয়ে ফেলি, তাহলে আবার তা ফিরে পেতে বহু বছর লেগে যেতে পারে।’ এ সময় অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সভাপতি আকরামুজ্জামান, সেক্রেটারি এস এম ফরহাদ ও দৈনিক সংগ্রামের খুলনা ব্যুরো প্রধান আব্দুর রাজ্জাক রানা।