শুক্রবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:২৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
দেশের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে গেছে হাসিনার স্বৈরতন্ত্র: কূটনীতিকদের ইউনূস ভারতে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ-হত্যার প্রতিবাদে শাটডাউন কর্মসূচির ঘোষণা চিকিৎসকদের নলতা আহসানিয়া মিশন রেসিডেনসিয়াল কলেজের অধ্যক্ষের দুর্নীতি ॥ উত্তাল নলতা ॥ শিক্ষক কর্মচারীরা মতবিনিময় করলেন ডাঃ শহিদুল আলম ও চেয়ারম্যান আজিজুর রহমানের সাথে মহামারীর দ্বারপ্রান্তে গাজা আলোচনায় থাইল্যান্ড ॥ বন্দী থাকসিন মুক্ত হরিনগর বাজারে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদের মাঝে নগদ অর্থ প্রদান পাইকগাছায় একটি বাঁশের সাঁকো পারাপারে এলাকাবাসীর চরম ভোগান্তি মাথাভারি হচ্ছে প্রশাসনের ॥ বাড়ছে সরকারের দু:চিন্তা ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদ এর পদত্যাগ দাবীতে-মানববন্ধন চাম্পাফুল ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত

ভেজাল শিশু খাদ্যে আশাশুনির বিভিন্ন বাজার সয়লাব

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় বুধবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

এম এম নুর আলম \ আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভেজাল, রং মিশ্রিত, মেয়াদোত্তীর্ণ শিশুর বিভিন্ন ধরনের খাদ্য বিক্রি হচ্ছে। রকমারী নামিদামী কোম্পানির নাম ব্যবহার করে স্থানীয়ভাবে তৈরি ভেজাল এসব শিশু খাদ্য খেয়ে পেটের পীড়াসহ নানা রকম জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। দ্রুত এসব ভেজাল শিশু খাদ্যের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান সহ কার্যকর ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়েছে সচেতন মহল। উপজেলার বিভিন্ন বাজারে লিচু ড্রিংক, ফুট ড্রিংক, স্ট্রবেরি, জাম, আম স্বাদের রকমারী চকলেট, ফুলক্রীম দুধ, বাহারী জুস, চুইংগাম, আচার, রকমারি চিপস, বিস্কুট, শনপাপড়ি, কেক সহ অনন্ত ৫০ ধরনের ভেজাল শরীরের জন্য ক্ষতিকর রং মিশ্রিত শিশু খাদ্য বিক্রি হচ্ছে। ১ থেকে ২৫ টাকা মূল্যের শিশুদের মন কাড়ানো এসব শিশু খাদ্য সহজলভ্য হওয়ায় এর চাহিদাও অনেক বেশি। কিন্তু ভেজাল এসব শিশু খাদ্য খেয়ে পেটের পীড়া, অপুষ্টি, কৃমিসহ জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে কম বয়সী শিশুরা। আলাপকালে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, কম দামের জিনিসের ৯০ ভাগ গ্রাহক হচ্ছে শিশুরা। তাই তাদের আকর্ষণ করতে রং মিশ্রিত করে সামান্য সেকেরান দিয়ে মিষ্টি করে অনেক ধরনের জিনিস বিভিন্ন কোম্পানী বাজারজাত করছেন। তারা নিজেরাও স্বীকার করে এর মধ্যে ৯৫ ভাগ জিনিসই দুই নাম্বার বা ভেজাল। তিনি আরও বলেন, লিচিতে সামান্য ফ্লেভার দিয়ে বাকি সব পানি। পাউডার দুধে সব পাউডার, জেলীতে সব কৃত্রিম জিনিস, চকলেটের অবস্থা আরো খারাপ। জুস ও চিপস খেতেতো ডাক্তাররা প্রতিনিয়ত বারণ করেন। তবে কি করবো ব্যবসার কারণে বিক্রি করতে হচ্ছে। সচেতন মহল বলেন, গ্রামের প্রতিটি দোকানে এসব ভেজাল বাহারী পণ্য খুব সুন্দরভাবে প্রদর্শন করা থাকে। আর দামেও সস্তা হওয়ায় গ্রামের শিশুরা এসব পণ্য বেশি খায়। এজন্য তাদের ডায়রিয়াসহ নানা জটিল রোগ সবসময় লেগে থাকে। এজন্য তারা অভিভাবকদের বেশি সচেতন হতে পরামর্শ দেন। সচেতন মহল আরও বলেন, অনেকে আদর করে বাচ্চাদের হাতে টাকা দেয়, সেটা না দিয়ে তাদের টিফিন দিতেও অভ্যস্ত হতে আহবান জানান। এছাড়া নাস্তার সময় শিশুদের কলা, বিস্কুট, ডিম এসব খাওয়ানোর পরামর্শ দেন। প্রথমত শিশুখাদ্য ভেজাল বিক্রি যারা করে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা ও অভিভাবকদের বেশি সচেতন হওয়া জরুরী।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com