এফএনএস: ছাত্র—জনতার অভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে ফেরানোর বিষয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আলোচনা হলেও চূড়ান্ত কিছু হয়নি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেন। এছাড়া রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়েও কোনো চূড়ান্ত আলোচনা হয়নি জানিয়ে তিনি বলেছেন, এই মুহূর্তে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্ভব নয়। গতকাল মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে উপদেষ্টা এ কথা বলেন। থাইল্যান্ডে স¤প্রতি অনুষ্ঠিত বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বৈঠক হয়। সেখানে শেখ হাসিনাকে ফেরত নিয়ে কী আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপিত হয়েছে, তবে চূড়ান্ত কোনো কিছু হয়নি। বৈঠকে ভারতের পক্ষ থেকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের তাগিদ দেওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, দায়িত্ব পালন শেষ করে খুব শিগগির নির্বাচন দেওয়াই আমাদের অঙ্গীকার। তবে টেবিলটকে আলোচনায় তারা জানতেই পারেন। এটা স্বাভাবিক। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তৌহিদ হোসেন বলেন, থাইল্যান্ডের বৈঠকে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনযোগ্য, এটা মিয়ানমার ক্লিয়ার বলেছে। বাকি তালিকা তারা রিভিউ করছে। তবে বাস্তব অবস্থা আপনাদের বুঝতে হবে। এই মুহুর্তে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন করা সম্ভব নয়। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেন বলেন, ভারত ভিসা দেবে কি না, সেটা তাদের বিষয়। তবে ভিসার জন্য কোনো শূন্যতা থাকে না, মানুষ অন্য কোনো দেশে সমাধান খুঁজে নেয়। ভারতের ভিসা বন্ধ রয়েছে, এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো উদ্যোগ আছে কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ভিসা দেয়াটা তাদের বিষয়। আমরাও সাময়িকভাবে সেদেশে ভিসা বন্ধ করেছিলাম। তবে কোনো দেশের ভিসা বন্ধ হলে শূন্যতা থাকে না। মানুষ অন্য দেশে সমাধান খুঁজে নেয়। ইতালির ভিসা পেতে বাংলাদেশিরা বিক্ষোভ করছেন। এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ইতালির ভিসা নিয়ে দেশটির সঙ্গে অব্যাহতভাবে আলোচনা করছি। তবে ভিসা পেতে যেসব ডকুমেন্ট দেওয়া হয়, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। ইতালির ভিসার জন্য অনেক অবৈধ কাগজপত্র দেওয়া হয়। তারা (ইতালি) দেখছে, আসলেই সেই কাগজপত্র ঠিক আছে কি না। অনেক লোকজনের কাগজপত্র জেনুইন আছে, তারাও এখন এই অবস্থায় ভিসার জন্য ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছেন।