স্টাফ রিপোর্টার : পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতি ও তদারকী না করলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। সাতক্ষীরার জলাবদ্ধতা নিরসনে সঠিক নিয়মে নদী ও খাল পুন:খননে অনিয়ম হলে চরম ভোগান্তীর শিকার হবে সাতক্ষীরার মানুষ। সাতক্ষীরার জলাবদ্ধতা নিরসনে ৪৭০ কোটি টাকা দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। বেতনা নদী ও খাল পুন:খননে যে কোন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। সাতক্ষীরার জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পে নদী ও খাল পুন:খননে কোন দুর্নীতি হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা।” গতকাল দুপুরে সদরের লাবসা বিনেরপোতা বেতনা নদী ও খাল পুনঃখনন কাজের পরিদর্শনে গিয়ে সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এমপি এসব কথা বলেন। সাতক্ষীরা জেলার পোল্ডার ১,২,৬,৮ এবং ৬-৮ (এক্সটেনশন) এর নিস্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সাতক্ষীরা পওর বিভাগ-২ আওতায় ১৫.০০০ হতে কি:মি: ২৩.৫০০= ৮৫০০ মিটার বেতনা নদী রাজনগর হতে শাল্যে পর্যন্ত ২৯ কোটি ৪ লক্ষ ৩ হাজার টাকা ব্যয়ে বেতনা নদী পুন:খনন করা হচ্ছে। এলাকাবাসী ও সচেতন মহলের দাবী শিডিউল অনুযায়ী বেতনা নদীর পানি সম্পূর্ণ শুকিয়ে খনন করার কথা থাকলেও তা করা হচ্ছে না। দায়সারাভাবে কাদামাটি তুলে ট্রাক্টরে পরিবহন করায় নষ্ট হচ্ছে শহরের রাস্তা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন খালের পানি না শুকিয়ে যেভাবে নদী খনন করছে, তা সাতক্ষীরাবাসীর কোনো কাজে আসবে না বলে জানান। সরেজমিনে বেতনা নদী খনন কাজ পরিদর্শণকালে দলীয় ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।