শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:২৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

খাবারে অ্যালার্জির সমস্যায় যা করবেন

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় সোমবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৫

ত্বকের একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার নাম অ্যালার্জি। এ সমস্যায় ত্বকে চুলকানির সমস্যা শুরু হয়। কারো ক্ষেত্রে ত্বকে ছোট ছোট ফুসকুড়ি দেখা দেয়। কারো ক্ষেত্রে অ্যালার্জির কারণে ত্বকে বড় গোলাকৃতির ফোলাভাব তৈরি হয়। এ সমস্যার সমাধানে ঘরোয়া কিছু টিপস মেনে চলতে পারেন। চিকিৎসা শাস্ত্রে অ্যালার্জি হলো আমাদের শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার একটি ত্রুটি। তাই অ্যালার্জিতে যেসব খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে তা যদি অ্যালার্জি রোগী না মেনে চলে, তবে সেই খাবার খাওয়ার পর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা সক্রিয় হয়ে পালমোনারি ইডিমা তৈরি করতে শুরু করে। এ সমস্যাকে চিকিৎসা পরিভাষায় বলা হয় ভ্যাসোডাইলেশন। তাই অ্যালার্জি সমস্যায় ভুগছেন এমন রোগীদের খাবারের ব্যাপারে অনেক সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সেই সঙ্গে লাইফস্টাইলে আনতে হবে পরিবর্তন। পাশাপাশি অ্যালার্জি সমস্যার পরিমাণ কমাতে বাইরে থেকে কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন। আমেরিকান হেলথলাইন অনুসারে আসুন, একে একে সে উপায়গুলো জেনে নিই—

মধু: ত্বকে অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে মধুকে কাজে লাগাতে পারেন। মধু পরিবেশে উপস্থিত অ্যালার্জেনের সঙ্গে শরীরকে খাপ খাওয়াতে সহায়তা করে। এ ছাড়া মধুতে থাকা প্রদাহবিরোধী বৈশিষ্ট্য অ্যালার্জির ফুসকুড়ি কমায়।

ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল: ত্বকের অ্যালার্জির সমস্যা থেকে মুক্তিতে গোসলের সময়ও পানিতে ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন। পাশাপাশি অবশ্যই রাতে শুতে যাওয়ার আগে একবার করে ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েলের ভাপ নিন।

অ্যালোভেরা: ত্বকের অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পাওয়ার সহজ উপায় হলো অ্যালোভেরা। ত্বকের চুলকানি, শুষ্কতার সমস্যা, অ্যালার্জির সমস্যায় অ্যালোভেরা পাতার জেল কিংবা বাজারে পাওয়া অ্যালোভেরার জেল লাগিয়ে নিন। এর ঔষধি গুণ দ্রুত জ্বালা এবং চুলকানি থেকে মুক্তি দেবে।

তিতা জাতীয় খাবার: খাবারে তিতাজাতীয় খাবার বাড়িয়ে তুলন। নিয়মিত খাবারের তালিকায় রাখুন করলা ও নিমপাতা ভাজা। সকালে খালি পেটে চিরতা খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন, যা ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণসহ অ্যালার্জি প্রতিরোধ করতে সক্ষম।

ঠাণ্ডা এড়িয়ে চলা: অ্যালার্জি থেকে বাঁচতে ঠান্ডা মেঝেতে খালি পায়ে হাঁটবেন না। গরমে মেঝেতেও শোবেন না। কোল্ড অ্যালার্জির সমস্যায় যারা ভুগছেন তার গোসলের ক্ষেত্রে বেশি সময় নেবেন না।

হলুদ: ভেষজ উপাদান হলুদ দারুণ কাজ করে অ্যালার্জির সমস্যায়। গরম ভাতে তাই হলুদের গুড়া মিশিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।

ওটমিল: ওটমিলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি—ইনফ্লেমেটরি উপাদান সহ বিভিন্ন জৈবিকভাবে সক্রিয় বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এগুলো অ্যালার্জিজনিত ত্বকের প্রতিক্রিয়া ( বিশেষ করে চুলকানিকে) প্রশমিত করতে সহায়তা করতে পারে।

বেকিং সোডা: বেকিং সোডা ত্বকের ঢ়ঐ ভারসাম্যহীনতাকে মোকাবেলা করতে পারে এবং আপনার ত্বকের অ্যালার্জি প্রশমিত করতে প্রদাহ বিরোধী হিসাবে কাজ করে। এরজন্য ১২ চামচ পানিতে ৪ চামচ বেকিং সোডা নিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। অ্যালার্জির স্থানে লাগিয়ে ১০ মিনিট পর স্বাভাবিক পানিতে ধুয়ে ফেলুন।

পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা: ত্বকের অ্যালার্জির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত গোসল, পোশাকের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করুন। বাইরে বের হওয়ার সময় অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করু

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

দিনটা শুরু হবে চায়ে, না কফিতে? জানুন কোনটা ভালো সকালের শুরুটা কেমন হয়, পুরো দিনের ওপর তার একটা ছাপ পড়ে। কেউ সকালে উঠে চায়ের কাপ হাতে না পেলে যেন দিনই শুরু করতে পারেন না, আবার কেউ আছেন কফির তীব্র গন্ধ ছাড়া সকাল কল্পনাই করতে পারেন না। এই দুটি পানীয় শুধু স্বাদের জন্য নয়, বরং অভ্যাস, সংস্কৃতি এবং মানসিক প্রশান্তির প্রতীক হয়ে উঠেছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে—সকালের জন্য কোনটা ভালো? চা নাকি কফি? এই নিয়ে নানান জনের নানান মত। চাপ্রেমীরা বলবেন চায়ের কথা তেমনি কফিপ্রেমীদের ভোট থাকবে কফিতে। আসুন জেনে নেই আসলে স্বাস্থ্যকর দিক থেকে কোনটি সবচেয়ে ভালো। বিশ^জুড়ে কোটি কোটি মানুষ দিনের শুরু করে এক কাপ চা দিয়ে। বিশেষ করে উপমহাদেশে চা শুধু পানীয় নয়, এক ধরনের সংস্কৃতি। আমাদের দেশে সকালে বাসার বারান্দায় বসে কড়া লাল চা কিংবা দুধ চা পান করার অভ্যাস অনেক পুরোনো। চায়ে উপস্থিত থাকে ক্যাফেইন, তবে তা কফির তুলনায় অনেক কম। এজন্য চা ধীরে ধীরে কাজ করে, মাথা ঠান্ডা রাখে এবং এক ধরনের প্রশান্তি দেয়। এতে থাকা এল—থিয়ানিন নামক অ্যামিনো অ্যাসিড মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে এবং মনোযোগ বাড়ায়। যাদের সকালে অতিরিক্ত উত্তেজনা বা নাড়া—চাড়া একদম পছন্দ নয়, তাদের জন্য চা একটি আদর্শ পানীয় হতে পারে। অন্যদিকে কফি হচ্ছে সকালের সেই পানীয়, যা অনেকের চোখ খুলে দেয়। যাদের সকালে কাজে নেমে পড়তে হয় দ্রুত, তাদের কাছে কফি যেন এক অলৌকিক শক্তির উৎস। এতে থাকা বেশি পরিমাণ ক্যাফেইন খুব দ্রুত কাজ করে, মনোযোগ বাড়ায়, ক্লান্তি দূর করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এক কাপ ব্ল্যাক কফি সকালবেলা শরীরের মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে এবং ফ্যাট বার্নিংয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখে। তাই যারা স্বাস্থ্য সচেতন, তাদের অনেকেই সকালে কফিকেই বেছে নেন। কোনটা বেশি স্বাস্থ্যকর? চা এবং কফি—দু’টোর মধ্যেই রয়েছে স্বাস্থ্য উপকারিতা। চায়ে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন ক্যাটেচিন এবং ফ্ল্যাভোনয়েডস হৃদরোগ, ক্যানসারসহ নানা জটিল রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। গ্রিন টি তো একেবারে স্বাস্থ্য সচেতনদের প্রিয়। অন্যদিকে কফির মধ্যেও রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং নানা উপকারী উপাদান যা টাইপ—২ ডায়াবেটিস, পারকিনসনস ডিজিজ এবং অ্যালজাইমার্স প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। তবে একটা বড় পার্থক্য হলো—কফির অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণে উদ্বেগ, ঘুমের সমস্যা, হৃদকম্পন ইত্যাদি হতে পারে। অন্যদিকে চা তুলনামূলকভাবে বেশি সহনীয় এবং দীর্ঘমেয়াদে কম পাশ^র্প্রতিক্রিয়ামূলক। জীবনধারা ও অভ্যাস নির্ভর সকালে চা ভালো, না কফি—এই প্রশ্নের উত্তর অনেকাংশেই নির্ভর করে ব্যক্তির জীবনধারা ও স্বাস্থ্যের ওপর। কেউ যদি খুব সকালে উঠে ধীরে ধীরে দিন শুরু করেন, কিছুক্ষণ বই পড়ে, প্রার্থনা করেন বা নিজেকে সময় দেন—তাদের জন্য চা একটি উপযুক্ত সঙ্গী। আবার অফিস শুরু হতেই যদি ছুটতে হয়, মাথা ঠান্ডা রাখতে না পারলে সমস্যা হয়, তবে এক কাপ কফি প্রয়োজনীয় জ্বালানির মতো কাজ করে। অনেকেই আবার দুটোই পছন্দ করেন—সকালে কফি, বিকেলে চা। এতে শরীর ও মন দুটোকেই যথাযথভাবে সাড়া দেওয়া যায়।চা বনাম কফি, এই লড়াইয়ে নির্দিষ্ট করে জেতার কেউ নেই। বরং আপনার শারীরিক চাহিদা, মানসিক অবস্থা, এবং সকালের অভ্যাস—এই তিনটাই ঠিক করে দেবে কোনটা আপনার জন্য উপযুক্ত। কেউ হয়তো সকালে এক কাপ লাল চা নিয়ে প্রকৃতির শব্দে মুগ্ধ হন, আবার কেউ কফির তীব্রতায় জেগে উঠে নতুন দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত হন। দিনের শুরুটা হোক যেভাবেই চা বা কফি, দুটোই যদি আপনাকে ইতিবাচকতায় ভরিয়ে তোলে, তবে সেটাই আপনার জন্য সেরা সকাল।

© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com