বুধবার, ০৭ মে ২০২৫, ১১:৩৪ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
দুই পুত্রবধূকে নিয়ে পায়ে হেঁটে বাসায় ঢুকলেন খালেদা জিয়া তরুণদের রাজনীতিতে আরও সক্রিয় হতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা দেশে নেতাকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত খালেদা জিয়া সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের ৯ ধারা বাতিল, মামলাও বাতিল হবে: আইন উপদেষ্টা পারুলিয়া মৎস্য সেটে চিংড়ি মূল্যে অনৈতিকতার ছোয়া পুশ নয় আওয়াজ তুলে কম মূল্যে চিংড়ি ক্রয়ের অপচেষ্টা ঘটনাস্থল শহরের খামারবাড়ী সড়ক \ প্রশান্তির ঘুমে এক সুতার মিস্ত্রী দেবহাটায় বজ্রপাতে দেবব্রত ঘোষের মৃত্যু সুন্দরবনে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সহ দুর্ধর্র্ষ ২ ডাকাত আটক সাবেক ইউপি সদস্য নিয়ামত আলীর দাফন সম্পন্ন পাইকগাছার চাঁদখালীতে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রস্তুতি সভা

ডুমুরিয়ায় আমের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় সোমবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৫

ডুমুরিয়া প্রতিনিধি \ আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি বছর খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলায় আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। এখন পর্যন্ত ঝড় বৃষ্টি না হওয়ায় আম ঝড়ে পড়েনি। তাই আশানুরূপ ফলন পাওয়া গেলে প্রায় কোটি টাকার আম বিক্রি হবে বলে কৃষি বিভাগের ধারণা। জানা যায়, ডুমুরিয়া উপজেলার বাগানে প্রচুর আম ঝুলছে। মাটি ও আবহাওয়া ভালো থাকে বলে গত কয়েক বছর যাবত হিমসাগর, ল্যাংড়া, আম্রপালি, মল্লিকা, গোপালভোগ, গোবিন্দভোগ, বোম্বাই ও গোপালখাসসহ অন্যান্য জাতের আমের চাষ করা হচ্ছে। এছাড়াও এখানকার উৎপাদিত আম স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ইংল্যান্ড ও ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে রপ্তানি করা হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্র মতে, চলতি বছর ডুমুরিয়া উপজেলার ৪০০ হেক্টর জমিতে আমের চাষ করা হয়েছে। এতে এ বছর ৩ হাজার ৫০০ টন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। সাহস ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের মাস্টার নজরুল ইসলাম বলেন, এখানকার আমের চাহিদা পুরো দেশজুড়ে রয়েছে। বিশেষ করে এখানকার হিমসাগর, ল্যাংড়া ও আম্রপালি বিখ্যাত। আমি গত বছর আমার বাগানে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে লোকসান গুনতে হয়েছে। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আশা করি লাভবান হতে পারব। এলাকার তৌহিদুল ইসলাম বলেন, গত বছর আবহাওয়া খারাপ থাকায় ফলন কম পেয়েছি। ফলে লোকসান গুনতে হয়েছে। এ বছর বেশ ভালো ফলন হয়েছে। বাগান পরিচর্যা, পোকামাকড় মুক্ত করতে ওষুধ প্রয়োগ, ফলনের পর বাজারজাত, শ্রমিকের খরচ সব মিলিয়ে অনেক টাকা খরচ করতে হয়। ফলন ভালো না পেলে খরচ বাদ দিয়ে লাভ করা সম্ভব হয় না। আশা করছি— এ বছর লাভবান হতে পারব। খুলনা বড় বাজারের আড়তদার মতিয়ার রহমান বলেন, বর্তমানে প্রতি মণ কাঁচা আম ১৪০০—১৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাইকাররা গ্রামের চাষিদের কাছ থেকে কম দামে কাঁচা আম কিনে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছেন। তিনি আরো বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর বেশি দামে আম বিক্রি হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. ইনসাদ ইবনে আমিন আমাদের ডুমুরিয়া খুলনা প্রতিনিধি শেখ মাহতাব হোসেনকে বলেন, গাছে প্রচুর পরিমাণে আম ধরেছে। এ বছর উপজেলায় ৩ হাজার ৫০০ টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সামনে কোনো দুর্যোগ দেখা না দিলে উৎপাদনে রেকর্ড হবে। এখানকার উৎপাদিত আম স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ইতালি, ফ্রান্স, ডেনমার্ক, জার্মানি ও ইংল্যান্ডে রপ্তানি করা হবে। আর এ উৎপাদনে প্রতি কেজি আমের দাম ৫০ টাকা দর ধরলে প্রায় কোটি টাকার আম বিক্রি হবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com