এফএনএস বিদেশ : দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের দপ্তর ও তার নিরাপত্তা কমপাউন্ডে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। গতকাল বুধবার অভিশংসিত এই নেতার বিরুদ্ধে চলমান ফৌজদারি তদন্তের অংশ হিসেবে এ অভিযান চালানো হয়। খবর বার্তা সংস্থা এএফপির। সিউল থেকে এএফপির সাংবাদিক জানান, গত ডিসেম্বরে ইউন সামরিক আইন জারি করে সশস্ত্র সেনাদের পার্লামেন্টে প্রেরণ করেছিলেন, তবে পরে সেই সিদ্ধান্ত তিনি প্রত্যাহার করেন। এরপরই সংসদ সদস্যরা দ্রæত তাকে অভিশংসিত করেন। তবে ফৌজদারি তদন্তে গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে তিনি কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ইউনের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের প্রতিরোধের মুখে এক দীর্ঘ অচলাবস্থার পর চলতি বছরের জানুয়ারিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে প্রথম কোনো ক্ষমতাসীন রাষ্ট্রপ্রধান, যিনি গ্রেপ্তার হন। পরে তাকে প্রক্রিয়াগত কারণে মুক্তি দেওয়া হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার পুলিশ জানায়, আজ বুধবার সাবেক প্রেসিডেন্টের দপ্তর এবং তার বাসভাবনে তল্লাশি ও জব্দ পরোয়ানা কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন তারা। তদন্ত কর্মকর্তারা ইউনের দপ্তর ও তার প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তার বাসায় তল্লাশি চালিয়ে এনক্রিপ্টেড ফোন সার্ভার জব্দ করেন। পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকরে বাধা দেওয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে এ তল্লাশি চালানো হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ইউন প্রেসিডেনশিয়াল সিকিউরিটি সার্ভিসের অনুগত সদস্যদের দ্বারা সুরক্ষিত অবস্থায় তার বাসভবনে আশ্রয় নেন। তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা বাসভবনের চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া ও ব্যারিকেড স্থাপন করায় শত শত পুলিশ ও তদন্তকারীকে মই ব্যবহার করে ভেতরে প্রবেশ করতে হয়। তখন ইউনের বিরুদ্ধে বাধাদানের অভিযোগ আনা হয়। পুলিশ এ সপ্তাহে জানায়, এসব ঘটনায় নীতিগতভাবে একটি পূর্ণ তদন্ত অপরিহার্য। পুলিশ আরও জানায়, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লি সাং-মিনের বিরুদ্ধে আলাদা একটি তদন্তের অংশ হিসেবে প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের সিসিটিভি ফুটেজও জব্দ করা হয়েছে। ইউন গত সোমবার আদালতে তার বিরুদ্ধে থাকা মামলার প্রথম আনুষ্ঠানিক শুনানিতে হাজির হন। নিজের বিরুদ্ধে ওঠা বিদ্রোহ সংঘটনের অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। এ মামলায় পরবর্তী শুনানি নির্ধারিত রয়েছে ২১ এপ্রিল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বিচারপ্রক্রিয়া কয়েক মাস ধরে চলতে পারে।